নিজস্ব প্রতিবেদন:  'আমি কীভাবে কথা বলব, সেই দায়িত্ববোধ না থাকলে মানুষের কাছে কী বার্তা যায়, তা ভাবা উচিত। অনেকেই ক্ষমতা ভোগ করতে চান, শুধুমাত্র শাসন করতে চান।' হলদিয়ায় মহামিছিল শেষে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'সাধারণ মানুষের সমর্থন যদি না থাকত, তাহলে এতবড় মিছিল হত না। গত ন'বছর মানুষে যে শান্তির নির্দশন দেখেছেন, সেটাই বজায় রাখতে চান। বিভাজন চায় না। উন্নয়ন চাইলে আপনাকে ঠিক করতে হবে কার পাশে থাকবেন। ভরসার একটা নামই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ভাইপো কেন? আমার নাম নিয়ে বলার বুকের পাটা নেই প্রধানমন্ত্রীরও: অভিষেক


দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল, মাত্র দু'দিন আগেই ছেড়েছেন মন্ত্রিত্ব। শুভেন্দু অধিকারীর গড় হলদিয়ায় মিছিল করে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইল তৃণমূল? এদিন শহরের কদমতলা এলাকা থেকে সিটি সেন্টারে পর্যন্ত মিছিল হল মন্ত্রী সুজিত বসুর নেতৃত্বে। ছিলেন আর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মিছিলকে কেন্দ্র করে  রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। মিছিল শেষে জনসভায় বক্তব্য় রাখতে গিয়ে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হলদিয়ার মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে। এদিক-ওদিকের কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। আমি দলের সাধারণ কর্মী। আমরা সবাই রাজা। আমরা সবাই মানুষের কথা বলি, মানুষের কাজ করি।' তাঁর আবেদন, 'রাজনৈতিক দল নয়, মানুষ ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় আসবে। সবার উপরে মানুষ সত্য। এক হয়ে থাকুন, বিভেদকামী শক্তিকে মাথাছাড়া দিতে দেবেন না।' 


আরও পড়ুন: উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য যদি কেউ মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, আপনারা মানবেন? : অভিষেক


এদিকে হলদিয়ায় যখন তৃণমূলের সভা চলছে, তখন জেলার অপর প্রান্তে মহিষাদলে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, 'এই দেশের সংবিধানে মানুষই শেষ কথা বলে। আপনাদের এটুকু বলতে পারি, আমি এই বাংলার মানুষের জন্য কাজ করে যাব।' এবার যথারীতি অরাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম নিয়ে কিছু বললেন না তিনি। অথচ মন্ত্রিত্বের পিছুটান না থাকায় উল্টোটা হবে বলে আশা ছিল অনেকেরই।