Murshidabad: বড়ঞা কাণ্ডে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৃণমূলের, অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব
তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল শিবির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুর্শিদাবাদে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। বিধায়ক-মন্ত্রী বনাম ব্লক সভাপতি ও যুব সভাপতির ঝামেলাকে ঘিরে বড়ঞায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল শিবির। কোন্দল মেটাতে তড়িঘড়ি দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে আলোচনায় সায় দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। বড়ঞায় মন্ত্রী সুব্রত সাহাকে হেনস্থা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস তিন জনের কমিটি গড়ে দলীয় স্তরে তদন্ত শুরু করেছে।
মুর্শিদাবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহ রায় জানিয়েছেন, ''মুর্শিদাবাদ জেলা আই এন টি টি ইউ সি জেলা সভাপতি, কান্দির তৃণমূল নেতা পার্থ প্রতিম সরকার ওরফে বাপি, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির, বহরমপুর ব্লকের সভাপতি আইজুদ্দিন শেখকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বড়ঞায় গিয়ে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দলের কাছে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানাবেন জেলা নেতৃত্ব।''
আরও পড়ুন, Murder: নেশার টাকা না পেয়ে মা-কে 'খুন' ছেলের, পুকুরে মিলল পচাগলা দেহ
এছাড়াও আগামী রবিবার বড়ঞার বিবদমান দুই গোষ্ঠীর নেতা, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ ওরফে জর্জকে জেলা অফিসে বৈঠকে তলব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মৃতের বাড়িতে সমবেদন জানাতে গিয়ে আক্রান্ত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। পাশাপাশি এলাকার বিধায়কের উপরেও চড়াও হয় বিক্ষুব্ধ মানুষজন। মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার এনিয়ে তুলকালাম মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সৈয়দপাড়া। অভিযোগ উঠছে তৃণমূলেরই একাংশের দিকে। সুব্রতবাবুর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।