ওয়েব ডেস্ক: মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোয়নি। এরমধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসানোর সিদ্ধান্ত পরিবারের। মানতে পারেননি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের রফিজা খাতুন। প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছেন। রফিজার আর্জিতে পাশে দাঁড়িয়েছে স্কুল, সহপাঠীরা। বিয়ের সিদ্ধান্ত ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন রফিজার বাবা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভাবের সংসার। স্কুলের গণ্ডি পেরোনের আগেই সিঁথিতে সিঁদুরের বেড়ি। মানতে পারেনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের দশম শ্রেণির ছাত্রী  রফিজা খাতুন। সে যে অনেক বড় হতে চায়। পড়াশুনা শিখে রোজগার  করে ঘোচাতে চায় বাবা, মায়ের দুঃখ। গোটা ঘটনা স্কুলকে জানায় কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ক্লাস টেনের ছাত্রী রফিজা খাতুন। পাশে দাঁড়ায় স্কুল। পাশে দাঁড়ায় রফিজার ৬ বন্ধু।


বিয়ে রুখেছে রফিজার বন্ধুরা। রফিজার বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে বুঝিয়েছে রুকসানা, নিবেদিতারা। নাবালিকার বিয়ে আইনের চোখে অপরাধ। শোনার পর মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন রফিজার বাবা। শুধু রফিজা নয়, রফিজার মতো যে বন্ধুই এমন বিপদে পড়বে তাদের পাশে দাঁড়াবে রুকসানারা। শপথ নিয়েছেন কিশোরী বীরাঙ্গনারা।


কিশোরীকে ঘিরে স্কুলের অনেক আশা। পড়াশুনা করে অনেক বড় হবে এই সাহসী কিশোরী। জানিয়েছেন কৃষ্ণচন্দ্রপুরের স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সুদর্শন হালদার। কন্যাশ্রী প্রকল্পও কিশোরীদের স্বাধীনভাবে বাঁচার প্রেরণা যোগাচ্ছে, জানিয়েছেন কেউ কেউ।


গ্রাম বাংলার বহু স্কুলে এমন হাজারো রফিজা ছড়িয়ে আছে। যাদের পরিবারে বছরভর চুড়ান্ত অভাব, দারিদ্র্য। পেটেই ভাত জোটেনা তার আবার পড়াশুনা। তাই মাঝপথেই পড়াশুনায় ইতি পড়ে বহু নাবালিকার।  স্কুলের গন্ডি পেরোতে না পেরোতেই  সিঁথিতে পড়ে সিঁদুরের বেড়ি। অভাব থেকে বাঁচতে কন্যাদায়গ্রস্থ পরিবার মেয়েকে   বিয়ের পিঁড়িতে বসায়। তার বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছে চোদ্দর রফিজা। হাজারো খারাপ খবরের মধ্যেও রফিজার এই ঘুরে দাঁড়ানো প্রেরণা যোগাবে হাজার কিশোরীকে। (আরও পড়ুন- ভূতের আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার গুনিন দম্পতি)