নিজস্ব প্রতিবেদন : ৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও সচিনের কোনও সন্ধান নেই। ড্রোন তল্লাশি, ট্যাপ ক্যামেরা, খাঁচা পাতা, কুনকি হাতি দিয়ে তল্লাশি- ব্যর্থ হয়েছে সচিনকে ধরার সব প্রচেষ্টা-ই। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি থেকে চম্পট চিতাবাঘ সচিনের কোনও খোঁজ মেলেনি। কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বেঙ্গল সাফারির এনক্লোজারের মধ্যে সচিনের থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সম্ভবত মহানন্দা অভয়ারণ্য বা বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলে চলে গিয়েছে চিতাবাঘটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার রাস্তা থেকে


সচিনের খোঁজে এবার ওই দুটি জায়গায় খাঁচা পাতা হবে বলে খবর বন দফতর সূত্রে। ইতিমধ্যেই মহানন্দা অভয়ারণ্য ও বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রধান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, পর্যটকদের জন্য রবিবার থেকে পুরোপুরি খুলতে পারে সাফারি। এই মুহূর্তে শুধু গাড়িতে করে সাফারির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে যদি আরও কোনও পায়ের ছাপ না পাওয়া যায়, তবে রবিবার থেকে পায়ে হেঁটে সাফারির অনুমতি দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন, বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের নামে ওষুধ বিক্রির ছক, জালে ভুয়ো ডাক্তার


গত জানুয়ারিতে খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে 'সচিন' ও 'সৌরভ' নামে দুটি  চিতাবাঘকে আনা হয় এখানে। তাদের ঘিরে পর্যটকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বছরের প্রথম দিনও 'সচিন'-এর খোঁজেই ঘুরছিল পর্যটকদের চোখ। কিন্তু কোত্থাও দেখা মিলছিল না তার। পরে বোঝা যায়, নিজের এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে সচিন।


আরও পড়ুন, 'সংশোধনী অসাংবিধানিক নয়', হাইকোর্টের রায়ে কাটল মেয়র নির্বাচনের কাঁটা


খবর চাউর হয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই। তারপরই এক লহমায় পর্যটকদের হাসিমুখে আতঙ্কের ছাপ ছড়িয়ে পড়ে। চিতাবাঘ পালিয়েছে শুনেই তড়িঘড়ি সাফারি পার্ক ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। শুরু হয় চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশেষজ্ঞ দল। ঘুমপাড়ানি গুলি নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি।