নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে দিল্লিতে গিয়ে দলবদল। বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর প্রথমবার শান্তিপুরে পা রাখলেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। সঙ্গে ওয়াই ক্য়াটেগরির নিরাপত্তা। এলাকায় ফিরে নিজের বিধায়ক তহবিলের টাকায় স্থানীয় একটি ক্লাবকে অ্যাম্বুলেন্স দিলেন তিনি। বললেন, 'নিজের বিধানসভা, নিজেদের লোকেদের স্বার্থে দল পরিবর্তন করেছি। উন্নয়নের মডেলকে সামনে রেখে রাজনীতি করব।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৬ সালে কংগ্রেসে টিকিটের জিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে (TMC)। এবার কি বিজেপিতে (BJP) যোগ দেবেন? শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে (Arindam Bhattacharya) নিয়ে জল্পনা চলছিল গত কয়েক মাস ধরেই। শেষপর্যন্ত ২০ জানুয়ারি দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) উপস্থিতিতে গেরুয়াশিবিরে নাম লেখান অরিন্দম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধায়কের অভিযোগ, 'আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। কাজ করতে চাইলেই হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিতে এসে পদের লোভ করিনি।' 'বাংলাকে স্বাবলম্বী করতে মোদীর হাত' ধরার আহ্বান জানান তিনি।


আরও পড়ুন: কৈলাস, মুকুলের সঙ্গে দিল্লি রওনা রাজীব, প্রবীর, বৈশালীদের


বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ২৫ জানুয়ারি দিল্লি থেকে ফেরেন অরিন্দম। এরপর দলের একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন পাক হামলায় শহিদ নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষের বাড়িতেও। নিজেই সেকথা জানিয়ে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, 'যে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেই স্বপ্ন পশ্চিমবঙ্গে এসে থেমে যাচ্ছিল। কাজ করতে গিয়ে বারবার বাঁধা পেয়েছি। এই সমস্যা বাংলায় সর্বত্রই। যাঁরা সত্যিকারের কাজ করতে চান, ভাবমূর্তি স্বচ্ছ, তাঁরা সকলেই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। লক্ষ্মীরতন শুক্ল, বৈশালী ডালমিয়াও একই কথা বলেছেন।' 


আরও পড়ুন: বহিষ্কার প্রত্যাহারের নির্দেশ Dilip-এর, দলে ফিরলেন কালোসোনা মন্ডল


এদিন বিধায়ক এলাকায় স্বাগত জানাতে কিন্তু বিজেপির তরফে প্রথমসারির কোনও নেতা-নেত্রীকে দেখা যায়নি। কেন? বিধায়কের সাফাই, 'জয়েনিংটা দিল্লিতে হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কথামতোই সব হয়েছে। নিচুতলার কর্মীরা জানতে পারেননি। ক্ষোভ থাকতেই পারে। বিজেপি রেজিমেন্টেড পার্টি। ওপরে যা কথা হয়, নিচে সেই কথা হয়। বিজেপি কর্মীরা ঐক্যবদ্ধই আছেন।'