নিজস্ব প্রতিবেদন:  'দলের মধ্যে ব্রাত্য।'  হুগলিতে তৃণমূলের (TMC) কোর কমিটি ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। সাংবাদিক সম্মেলনে সদ্য পদত্যাগী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) প্রসঙ্গ তুলে বলেন, 'দলে ভালো লোকেরা থাকতে পারবে না।  আমার কোনও কথাই শোনা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশও মানতে চান না দলের নেতা-নেত্রীরা। আমাকে হারানোর চক্রান্ত চলছে। নোংরা রাজনীতিতে নেই।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, কখনও দলের সংগঠন নিয়ে, কখনও নিজের এলাকার সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে মুখ খুলেছেন। গত কয়েক দিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। এমনকী, গতকাল পুরশুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) জনসভায়ও দেখা যায়নি তাঁকে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবীর ঘোষাল বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি বৈঠকে ছিলাম। এখানকার কর্মীদের যাওয়া ও খাওয়ারও ব্য়বস্থা করেছি।'  নিজে সভায় গেলেন না? তৃণমূলের বিধায়কের দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কার্ডেও আমার নাম ছিল না। সেকারণেই গতকালের সভায় যাইনি। আমি কোনও বিতর্কে যেতে চাই না।'


আরও পড়ুন: দুর্নীতিতে অভিযুক্ত TMC নেতা, বাড়িতে ভাঙচুর-বোমাবাজি ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর


এদিন তৃণমূলে (TMC) পিকে-র (Prashan Kishore) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। বলেন,'লোকসভা ভোটে হুগলি জেলায় ফল ভালো হয়নি। পচামুখগুলি সরিয়ে দিতে হবে, তবেই দলের ভালো হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলার পরও সমস্যা মেটেনি। পিকে আসার পর দলে গোষ্ঠীকোন্দল মেটেনি।' তিনি আরও বলেন, 'আমি বিধায়ক পদও ছাড়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু মানুষের কথা ভেবে এখনই ইস্তফা দিচ্ছি না।'  সঙ্গে যোগ করেন, 'পরেরবার ভোটে যদি প্রার্থী হই, তাহলে এই কেন্দ্র থেকেই হতে চাই।'


আরও পড়ুন: পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত সুজিত চট্টোপাধ্যায়, বছরে ৪টে চকোলেট ও ২ টাকার বেতনে পড়ান 'মাস্টারমশাই'


উল্লেখ্য, আর কয়েকদিন পরেই ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। হুগলির পাশে জেলা হাওড়ায় জনসভা করবেন তিনি। সেই সভায় যাবেন? বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের (Prabir Ghosal) স্পষ্ট জবাব, 'বিরোধী এখনও পর্যন্ত পর্যন্ত কোনও প্রস্তাব দেয়নি। আমি দল ছাড়ছি না।' এর আগে হুগলির চন্দননগরে রোড-শো করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তখন উত্তরপাড়ার বিধায়ককে 'মুখ না খুলে সিদ্ধান্ত' নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।