নিজস্ব প্রতিবেদন : আলো নেই, জল নেই। কষ্ট হচ্ছে, তবু  চলে যাচ্ছে। কিন্তু মোবাইলে চার্জ নেই! কঠিন অবস্থা। বুলবলের পর ঝড়ে বিধ্বস্ত হিঙ্গলগঞ্জে বিদ্যুত্‍ নেই দিন তিনেক। স্বাভাবিক ভাবেই তাই মোবাইলের চার্জ শেষ। ফলে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। আর সেই সুযোগে জেনারেটার বসিয়ে মোবাইল চার্জের ব্যবসা শুরু হয়ে গিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জে। কথায় আছে না কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা এলাকা বিদ্যুত্‍ বিচ্ছিন্ন। তিনদিন ধরে বিদ্যুত্‍ নেই। আলো জ্বলছে না। ফ্যান চলছে না। ফ্রিজ বন্ধ। আর বন্ধ হতে বসেছে মোবাইল চর্চা। সর্বসময়ের সঙ্গী মোবাইলের  চার্জ শেষ।  বিদ্যুতের অভাবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে সরে যেন হাঁফিয়ে উঠছে মন। সেই মনকে মন শান্ত করতেই এবার হিঙ্গলগঞ্জে শুরু হয়েছে মোবাইল চার্জের ব্যবসা। পাড়ার পাড়ায় জেনারেটর বসিয়ে, টেবিল বসিয়ে চলছে মোবাইল চার্জ।প্রতি মোবাইল চার্জে রেট ২০ টাকা। অর্থাৎ ২০ টাকা দিলেই আপনার মোবাইল ফুলচার্জ হয়ে যাবে।



বুলবুলে বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে ক্ষতির মাঝেই ব্যবসার পথ খুঁজে পেয়েছেন কেউ কেউ। কামাই ভালই হচ্ছে। আর যাঁরা মোবাইল চার্জ করাচ্ছেন তাঁরাও বলছেন, "ভাগ্যিস জেনারেটর বসিয়ে চার্জের ব্যবস্থা হয়েছে!" ঝড়ের ৫০০-রও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়া গাছে বন্ধ রাস্তাও। গাছে কেটে রাস্তা পরিস্কারের কাজ চলছে। চলছে বিদ্যুত্‍ সংযোগ ফিরিয়ে আনার কাজ।


আরও পড়ুন, হায়দরাবাদে মুখোমুখি সংঘর্ষ ২ ট্রেনের! দেখুন দুর্ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ


কিন্তু হিঙ্গলগঞ্জের বিদ্যুত্‍বিচ্ছিন্ন এলাকায়  বিদ্যুত্‍ কবে ফিরে আসবে? কবে ফের পরিশ্রুত জল মিলবে? প্রশ্ন রয়েছে। তবে মোবাইল চার্জের ব্যবসার দৌলতে হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দারা কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট পোস্ট করতেও পারছেন, আবার জানতেও পারছেন। কিঞ্চিৎ হলেও বাকি দুনিয়ার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা হচ্ছে।