পার্থ চৌধুরী: মাত্র মাস চারেক আগে কত আশা, কত উচ্ছ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। অগাস্টের সেই পদ্মাপারের উন্মাদনার ঢেউ তারকাঁটার বেড়া ডিঙিয়ে হাজির হয়েছিল সীতাভোগ মিহিদানার শহর বর্ধমানেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্ধমান শহরের রানিগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘির জামাইয়ের হাতেই তুলে দেওয়া হয় হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। লস্করদিঘির এই বাড়িতেই তো বড় হয়েছেন ইউনূসের স্ত্রী আফরোজী ইউনূস। এখন এখানেই থাকেন তাঁর সম্পর্কিত শ্যালক আর তাঁর পরিবার। বর্ধমানের জামাইকে নিয়ে তাই সেদিন খুশির পরিবেশ ছিল লস্করদিঘি এলাকায়। গর্বিত হয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পাশাপাশি শহরের নাগরিকরাও। মহম্মদ ইউনূসের শ্যালক আসফাক হোসেন ওরফে বাবু মিয়া সেদিন বলেছিলেন, মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রতি বছরই বাংলাদেশে যান তাঁরা। শ্যালক-জামাইবাবুর মধ্যে নানান বিষয়ে কথা হয়। আসফাক সেদিন আরও জানিয়েছিলেন, 'তাদের জামাইবাবু শুটকি মাছ খেতে খুব ভালোবাসেন। তবে সব খাবারই অল্প পরিমাণে খান। জামাইবাবু খুব ভালো মানুষ। তিনি সবসময় গরীবদের জন্য চিন্তা করেন। গরীবদের আয় কীভাবে বাড়ানো যায় সে কথা চিন্তা করেন। কাজেই তিনি তো লোকের ভালো করবেনই। একই সঙ্গে শ্যালক আসফাক বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধানের কাছে ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য স্পট ভিসার ব্যবস্থা করার দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন , 'ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।'  


আরও পড়ুন:Purulia: এগিয়ে বাংলা! ৯৫ বছরের ক্যানসার রোগীর জটিল অপারেশন সফল 'প্রত্যন্ত' পুরুলিয়ায়...


আসফাকের স্ত্রী তনুজা হুসেন বলেছিলেন, ভারতে এলে সময় পেলেই বর্ধমানে আসেন  মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, 'উনি সৎ পথে আছেন বলেই তো আজ সৃষ্টিকর্তা তাকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। দেখবেন বাংলাদেশে খুব শিগগিরই শান্তি ফিরবে। উনি খুব চেষ্টা করবেন। উনি তো খুব ভালো মানুষ, সৎ মানুষ। বাংলাদেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। সেই জন্যই তো তাকে চাইছে সবাই।'


তবে সেসব এখন ইতিহাস। আনন্দ উচ্ছ্বাস এখন ফিকে। ক্রমাগত বাংলাদেশে ভারত বিরোধী স্লোগান। হিন্দুদের উপর হামলা ও অত্যাচার লাগাতার। তবে এতসব ঘটনার পর এখন দরজায় খিল দিয়েছেন শ্যালক আসফাক ওরফে বাবু মিয়া। মুখেও কুলুপ এঁটেছেন তিনি। এখন তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করছেন।


প্রসঙ্গত, নির্বিচারে সংখ্যালঘুদের উপরে লাগাতার অত্যাচার চলছে বাংলাদেশে। সবকিছু দেখেও চোখ বন্ধ রেখেছেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। শুধু তাই নয়, ভারতের অবদান স্বীকার করতেও তাঁর ঘোর আপত্তি। অথচ নোবেল জয়ের পর ভারতে এসেছিলেন মহম্মদ ইউনূস। বিবাহ সূত্রে তাঁর এ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আগে থেকেই। কারণ তাঁর স্ত্রীর আফরোজি ইউনূসের বাড়ি  বর্ধমান শহরের লস্করদিঘিতে। মহম্মদ ইউনূসের দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজি ইউনূসের বেড়ে ওঠা এখানেই। মহম্মদ ইউনূসের প্রথম স্ত্রী ভেরা ফরেস্তেনকোর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিদেশে আফরোজির সঙ্গে পরিচয় হয়। ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষক ছিলেন আফরোজি। সেখান থেকেই প্রেম ও ভালোবাসা। পরে বিয়ে। ইউনূসের সঙ্গে বিয়ের পরে তিনি বাংলাদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কাজ শুরু করেন।


আরও পড়ুন:Katwa: এবার কি বিল্পুতির পথে ডলফিন? ফের গঙ্গায় ভেসে এল মৃত শুশুক...


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)