নিজস্ব প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলামকে দলে যোগদান করানোয় দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভুল স্বীকার করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। গত শনি ও রবিবার দুর্গাপুরে বিজেপির চিন্তন বৈঠকে দলীয় নেতাদের কাছে ভুলস্বীকার করে ভবিষ্যতে এব্যাপারে সতর্ক থাকবেন বলে জানান তিনি। সঙ্গে মুকুল রায় বলেন, দলের কাউকে আঘাত দেওয়ার অভিপ্রায় ছিল না তাঁর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২৯ মে দিল্লিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। জেলার রাজনীতিতে যিনি অনুব্রত মণ্ডলের বিপরীত মেরুর লোক হিসাবে পরিচিত। মনিরুল বিজেপিতে যোগ দিতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়ায়। তাঁদের দাবি, যে মনিরুলের বিরুদ্ধে বীরভূমের নেতাকর্মীরা প্রাণপাত করে লড়ছেন তাকেই কী ভাবে দলে নেওয়া হল, প্রশ্ন তুলে সরব হন তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে হপ্তা ঘুরতে না ঘুরতেই বিজেপি ছাড়েন মনিরুল। কিন্তু তাতে ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। 


 



পুরনো বিজেপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল ভাঙানোর তাড়ায় বাছ বিচার না করেই দলে যোগদান করাচ্ছেন মুকুল। যার ফলে চরম সাম্প্রদায়িক মনিরুল ইসলামও দলে ঢুকে পড়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুকুলের কথায় ভরসা করেই যোগদান করিয়েছেন মনিরুলকে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে গুরুতর সব অভিযোগ রয়েছে তা অজানা ছিল তাঁদের। এমনকী এভাবে মুকুল কার্যত অন্তর্ঘাত করছেন বলেও অভিযোগ তোলে রাজ্য বিজেপির একাংশ। 


মনিরুল দল ছাড়লেও জবাবদিহি থেকে রেহাই পেলেন না মুকুল রায়। দুর্গাপুরের চিন্তন বৈঠকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ভুল স্বীকার করতেই হল তাঁকে। বৈঠকে মুকুল বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া মনিরুলকে যোগদান করানো ভুল হয়েছে। এই ধরনের ভুল আর হবে না। মনিরুলকে যোগদান করানোর আগে সবার মত নেওয়া উচিত ছিল। তবে কাউকে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশে আমি মনিরুলকে যোগদান করাইনি। 


আরও বাড়ল ফাটল, বিধানসভার স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভন


বলে রাখি, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নামে। কিন্তু সপ্তাহ কয়েকের মধ্যে যোগদানকারীদের বড় অংশ ফিরে যান পুরনো দলে। যাতে চরম অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। এর পরই রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া বিজেপিতে যোগদান করা যাবে না বলে নির্দেশ জারি করে রাজ্য বিজেপি।