নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। শনিবার রানাঘাট এসিজেএম আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিটে মুকুলের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির মন্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুকুল রায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া,'আমার বিরুদ্ধে ৪৪টা মামলা আছে। এজন্য চিন্তিত নই। আইনের উপরে বিশ্বাস আছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটা চার্জশিট। আরও অনেক কিছু দেখবেন। কাউকে দিয়ে কিছু বলানো হবে। এটা আরও বাড়তে থাকবে। এতে স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ভয় পাচ্ছেন।'


রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইট করেছেন,''ষড়যন্ত্র করছেন মমতা। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে চার্জশিট দায়ের করেছেন। এটা বিরোধীদের দমন করার ষড়যন্ত্র। আর কিছুদিনের অতিথি মমতার সরকার। তখন কী হবে? ভাবুন।''              



২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার হাঁসখালির ফুলবাড়ি গ্রামে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। ওই মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাঁদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে পেশ করা হয় চার্জশিট। প্রমাণ না থাকায় ছাড় পান বাকি দু'জন। এফআইআরে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও মুকুলের নাম ছিল সন্দেহভাজনের তালিকায়। প্রথম চার্জশিটে ওই দু'জন ছিলেন না। ১৪ সেপ্টেম্বর রানাঘাট আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিটে জগন্নাথ সরকারের নাম উল্লেখ করে সিআইডি। ওই চার্জশিটে ছিলেন না মুকুল রায়। 


আরও পড়ুন- মন্ত্রিত্বের চেয়ে বড় দল কী দেবে, রাজীবকে ফিরহাদ; TMC ভাঙছে, কটাক্ষ অধীরের