নিজস্ব প্রতিবেদন:  মুর্শিদাবাদে তৃণমূলনেতা খুনে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, পঞ্চায়েতের শাসন কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই বিবাদ ছিল। আর তার জেরেই খুন হতে হয়েছে তৃণমূলনেতা নিমাই মণ্ডলকে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেসের দিকে। তাদের অভিযোগ, সিপিএম ও কংগ্রেস চক্রান্ত করেই খুন করেছে তাদের দলের নেতাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



নিমাই মণ্ডলের পরিবারের সদস্যদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। পঞ্চায়েতের শাসন কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব ছিল। তাঁদের অভিযোগ, দলীয় কোন্দলের জেরেই খুন হতে হয়েছে নিমাই মণ্ডলকে।


 যদিও, দলীয় কোন্দলের অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা অভিযোগ, সিপিএম ও কংগ্রেস চক্রান্ত করেই খুন করেছে নিমাইকে। তবে পঞ্চায়েত দফতরে যে একটা ঝামেলা চলছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। নিমাই এলাকায় নিমাই মাস্টার বলে পরিচিত। প্রথমে তিনি সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান তিনি। সেক্ষেত্রে পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন হতে হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতির।


মধ্যমগ্রাম শুটআউটের নেপথ্যে কি আক্রান্ত তৃণমূলনেতার একসময়ের বন্ধু দলীয় কর্মী ‘ডন’ রাখাল?


মঙ্গলবার সকাল থেকেই থমথমে এলাকা। টুঙ্গিপাড়া এলাকায় বন্ধ দোকানপাট। মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, সোমবার রাত আটটা নাগাদ বাইকে করে এলাকায় ঢোকে ৫ দুষ্কৃতী। মুখে কাপড় বেঁধে কার্যালয়ে ঢোকে। তখন চেয়ারে বসেছিলেন নিমাই মণ্ডল। সেই অবস্থাতেই তাঁকে চেপে ধরে পরপর ছয় থেকে সাতটি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এরপর অস্ত্র উঁচিয়েই এলাকা ছাড়ে তারা। চেয়ার থেকে লুটিয়ে পড়েন নিমাই মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।


ঘটনার আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁর বন্ধুরা। ভয়ে এখন শিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। এই খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিস। তবে খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, সোমবার নওদার বালি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুন হন।