কিরণ মান্না: অপারেশন সূর্যোদয়ের ১৫ বছর পূর্ণ হল। নন্দীগ্রামে সেই উপলক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত সেই শহিদ স্মরণ সভায় শুরু হয়ে গেল তুমুল বিশৃঙ্খলা। মঞ্চে কে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ। তার হস্তক্ষেপে শেষপর্য়ন্ত কর্মসূচি শুরু হয়। তারপর শহিদ বেদীতে মাল্যদান করে কুণাল। অভিযোগ, অপারেশন সূর্যোদয়ের দিনে নন্দীগ্রাম থানার পুলিসকে নিষ্কৃয় রেখে গ্রামবাসীদের উপরে হামলা চালানো হয়। শুধু তাই নয় জমি উচ্ছেদের প্রতিবাদকারীদের উপরেও বাইরে থেকে লোক এনে হামলা করা হয়। দিনটি ছিল ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর। দিনটিকে স্মরণ করে আজ টুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- শিয়রে গুজরাট নির্বাচন, বিজেপির টিকিটে লড়বেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা 


নন্দীগ্রামের ওই অনুষ্টানে কুণাল ঘোষ তখন স্টেজে উঠে গিয়েছেন। অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। সেইসময় দর্শকদের মধ্যে একদল লোক রে রে বলে তেড়ে ওঠে। শুধু হয়ে য়ায় ধস্তাধস্তি। এক পক্ষের দাবি, জেলা কমিটির চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়াকে কেন স্টেজে তোলা হয়নি। কেন শেখ সুফিয়ানকে স্টেজে তোলা হয়েছে। সুফিয়ানকে স্টেজ থেকে নামাতে হবে। শহিদ পরিবারের লোকজনকে কেন স্টেজে তোলা হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ। বলেন সমস্য়া থাকলে আমার সঙ্গে কথা বলুন। শেষপর্যন্ত তিনি বলতে থাকেন, যারা এই গন্ডগোল করছেন তারা পরিকল্পিতভাবে এসব করছেন। আপনারা বিজেপির লোক। যারা গন্ডগোল করছেন তারা চলে যান। 


শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে আজ নন্দীগ্রামে সভা করতে চলেছে বিজেপিও। তার আগেই সেখানে সভা কর তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামে দাঁড় করাবেন, বিধানসভায় আনবেন। অর্থাত্ শুভেন্দু তাঁর প্রতিনিধি। আজ শুভেন্দু আমার আমার করে বেড়াচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীকে বলছি, দল যদি চাইতো তাহলে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু ঢুকতে পারত না। তোমার সেন্ট্রাল বাহিনী সরিয়ে নাও। তারপর বোঝা যাবে।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)