নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার অতীত ঐতিহ্য স্মরণ করে বর্তমানের 'করুণ দশা' নিয়ে সরব হলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। হলদিয়ার জনসভায় সরাসরি নিশানা করলেন মমতাকে। বিঁধলেন,'বাম শাসনের পর বাংলা মমতার আশায় ছিল। তার বদলে পেয়েছে ১০ বছরে নির্মমতা। পরিবর্তন এল না, বরং বামেদের পুনরুজ্জীবন হল। একবারে সুদ সমেত ফিরে এল বাম শাসন।'      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অতীত বাংলার গৌরব কীভাবে হৃত হল, সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন,'আজ যখন পশ্চিমবঙ্গে এসেছি, একটা প্রশ্ন করতে চাই, পরাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গ দেশের উন্নত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। দেশের বাকি অংশের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল পরিকাঠামোয়। সেই সময়ে রোজগারের প্রচুর সুযোগ। পাটশিল্প ও সামুদ্রিক বাণিজ্যে গোটা দেশে বাংলার সমতুল কেউ ছিল না। এখানকার কৃষকরা পরিশ্রমী, জমি ঊর্বর। শিক্ষায় শীর্ষে ছিল বাংলা। ওই সময়কালের জন্যে আজও বাইরে বাংলার মানুষ সম্মান পান। বাংলা দেশকে দিশা দেখিয়েছে। পথপ্রদর্শক হয়েছে। কেন উন্নতির গতি ধরে রাখতে পারল না এই রাজ্য? সেই গতি থাকলে আজ বাংলা কোথায় পৌঁছে যেত! ব্যবসা-বাণিজ্যে ভরে উঠল অন্য রাজ্যগুলি আর বাংলা পিছিয়ে পড়ল!'


আরও পড়ুন- নেতাজির ‘জাল’ চিঠি ভিক্টোরিয়ার সংগ্রহশালায়, কিউরেটরকে চিঠি দিলেন সুগত


এরপরই সরাসরি মমতাকে (Mamata Banerjee) বিঁধেছেন মোদী (Narendra Modi)। বলেন,'আপনারা ভাবুন, গত ১০ বছরে এখানে কতগুলি কারখানার শিলান্যাস বা উদ্বোধন হয়েছে? স্টিল প্ল্যান্টের কী হল? অরাজকতার জন্য শুরুই করা গেল না। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে উন্নয়নের রাজনীতি হয়নি। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় দুর্নীতি হয়েছিল। দীর্ঘদিনের বাম শাসনে দুর্নীতির সঙ্গে জুড়েছে অত্যাচার। ব্রেক লেগেছে উন্নয়নে। ২০১১ সালে গোটা দেশের নজর ছিল বাংলার দিকে। বামপন্থী হিংসা ও দুর্নীতি শেষ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। মমতা দিদি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভরসা করলেন মানুষ। মমতার আশায় বাঁচছিল বাংলা। তার বদলে ১০ বছরে পেল নির্মমতা। মমতার অপেক্ষায় নির্মমতার শিকার হল বাংলা। বাংলা যা পেল তা পরিবর্তন নয়, এ তো বামপন্থীদের পুনরুজ্জীবন। আর তাও সুদ সমেত। বামপন্থীদের পুনরুজ্জীবন মানে অপরাধ, দুর্নীতি, হিংসা ও গণতন্ত্রের উপরে হামলার পুনরুজ্জীবন।'


মোদীর (Narendra Modi) সংযোজন, 'বাংলায় আপনি দিদির কাছে অধিকারের কথা বললে ওঁর মেজাজ বিগড়ে যায়। এমনকি ভারত মাতার জয় বললেও ক্ষুব্ধ হন। কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে কেউ যতই বিষ উগরে দিক, দিদি কিন্তু রাগেন না। খবরে দেখেছেন, ভারতকে বদনাম আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অথচ একটা শব্দও বলেননি দিদি।' 


আরও পড়ুন- Live: 'খুব শীঘ্রই TMC-কে রামকার্ড দেখাবে বাংলার মানুষ'


এবার আসল পরিবর্তন হবে বলে আশ্বস্ত করেন মোদী (Narendra Modi)। তাঁর কথায়,'বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি ও তোলাবাজিমুক্ত আসল পরিবর্তন হবে। এই পরিবর্তন কী তা ত্রিপুরার লোকে দেখছে। ওখানেও কয়েক বছর ধরে দুর্নীতি চলেছে। আমাদের উপরে ভরসা করেছেন ত্রিপুরাবাসী। নেতৃত্বে সকলেই নতুন ছিল। তবে পরিশ্রমে কমতি নেই। উদ্দেশ্যেও সৎ। সেজন্য ত্রিপুরা দারুণ কাজ করছে।' 


আরও পড়ুন- কেন্দ্রভিত্তিক আসন রফা নিয়ে প্রথম বাম-কংগ্রেস বৈঠক, আব্বাসের চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার বিমানের