Narendrapur: ক্যান্সারের চিকিৎসার টাকা জোগাড়েই ডাকাতির ছক! ধৃত গাড়ি চালক
মিশনপল্লী এলাকার বাসিন্দা বৃন্দাবন সিংহ রায়ের বাড়িতে বিগত ১০ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়েও এই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। যে কোনও বিপদে বা আর্থিক সমস্যায় পড়লে স্বর্ণদীপ সাহায্য চাইত। বাড়ির গৃহকত্রী তাকে সাহায্যও করতেন বলে জানা গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই তাকে টাকা ধার দিয়েছেন তারা।
তথাগত চক্রবর্তী: ক্যান্সারের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতেই ডাকাতির ছক। নরেন্দ্রপুরের মিশনপল্লীতে বাড়িতে একলা বৃদ্ধের হাত ও মুখ বেঁধে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য সামনে এল পুলিসের। ঘটনার মূল মাথা স্বর্ণদ্বীপ ভট্টাচার্য সোনারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। মিশনপল্লী এলাকার বাসিন্দা বৃন্দাবন সিংহ রায়ের বাড়িতে বিগত ১০ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। কার্যত বাড়ির ছেলে হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়েও এই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। যে কোনও বিপদে বা আর্থিক সমস্যায় পড়লে স্বর্ণদীপ সাহায্য চাইত। বাড়ির গৃহকত্রী তাকে সাহায্যও করতেন বলে জানা গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই তাকে টাকা ধার দিয়েছেন তারা।
কিছুদিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হন স্বর্ণদ্বীপ। ইতিমধ্যে তাকে চারটি কেমোও নিতে হয়েছে। সম্প্রতি তার আরও একটি কেমো নেওয়ার কথা। তারজন্যই টাকার প্রয়োজন ছিল৷ বৃন্দাবন সিংহের কাছ থেকে টাকাও চান। কিন্তু টাকা দিতে রাজী হননি তারা। কারণ তাদের একটি নির্মানকার্যে হাত দিয়েছেন। ফলে রাজমিস্ত্রীর পেমেন্টের জন্য বাড়িতে কিছু টাকাও ছিল। যা জানত স্বর্ণদ্বীপ।
সে তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। স্বর্নদ্বীপ ছাড়াও আরও তিনজন এই ঘটনায় জড়িত আছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে।
আরও পড়ুন: Nadia: 'আলাদা থাকতে পারব না', ভালোবেসে বিয়ের পরই আত্মঘাতী নবদম্পতি!
সোনারপুরের মিশনপল্লীর বাসিন্দা ব্রিন্দাবন সিংহ রায়ের বয়স ৬৭। দিল্লীতে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। বাড়িতে তিনি ছাড়াও থাকেন তার স্ত্রী ও পুত্র ৷ ছেলে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক ৷ এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে তার স্ত্রী ও ছেলে বর্ধমানে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফাঁকাই ছিল। বাড়ির মেন গেটও খোলা ছিল।
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে দুষ্কৃতিরা পায়ে হেঁটে আসে যাতে কারোর কোনও সন্দেহ না হয় ৷ বৃন্দাবন সিংহ রায় জানান তিনি দুপুরে স্বান সেরে পুজো করছিলেন। তারপর পুজো সেরে যখন খেতে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন সেই সময় আচমকা দুজন এসে তার গলায় চাকু ধরে। তাদের মুখ ঢাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
বৃদ্ধের হাত ও মুখ বেঁধে পুরো ঘর তছনছ করা হয়। প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মত নগদ, একশো গ্রাম সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় তারা ৷ প্রায় ঘন্টা দুয়েক ধরে চলে এই অপারেশন ৷