WB Panchayat Election 2023: `ভয় পেয়েছে, ক্ষমার নাটক করছে হাকিবুল`!
আপনাদের কাছে ভুল স্বীকার করছি নিজেরা, ভাঙড়বাসীর কাছে হাতজোড় করে `ক্ষমা` চেয়েছেন আবারুলের ছেলে হাকিবুল ইসলাম।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে বোধোদয়! ভাঙড়বাসীর কাছে 'ক্ষমা' চাইলেন আরাবুলের ছেলে হাকিবুল ইসলাম। 'ভয় পেয়েছে, ক্ষমার নাটক করছে। এই ক্ষমার নাটকে ভাঙরবাসীর মন ভরবে না', বললেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি ও সিপিএমও।
ঘটনাটি ঠিক কী? পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে রণক্ষেত্র ভাঙড়। অশান্ত হয়েছে রোজই! কেন? অভিযোগ, মনোনয়ন পেশ করতে বাধা দেওয়া হয় ISF প্রার্থীদের। পরিস্থিতি চরম আকার নেয় শেষদিনে। ভাঙড়ে ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। সঙ্গে গুলি! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২। একজন ISF কর্মী, আর একজন তৃণমূলকর্মী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও বেশ কয়েকজন।
এদিন তৃণমূলের নির্বাচনী কর্মিসভার হাকিবুল বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভুল করেননি। যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ভুল করে থাকে, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের কাছে ভুল স্বীকার করছি নিজেরা। আমাদের ভুল হয়ে থাকলে আপনারা ক্ষমা করে দিন'। সঙ্গে আর্জি, 'আপনারা আমাদের ভোট দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভোটটাকে ঋণ হিসেবে চাইছি। এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করব, অঙ্গীকার করছি। যদি এলাকার উন্নয়ন না করতে পারি, পরেরবার আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব না'।
আরও পড়ুন: Governor CV Ananda Bose: 'গ্রাউন্ড জিরো গর্ভনর হতে চাই', কমিশনকে কড়া বার্তা রাজ্যপালের
এর আগে, ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে প্রার্থী প্রত্যাহারের বার্তা দিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন তিনি বলেন,'মানুষ বুঝতে পারছে, তাদের জমিগুলি কীভাবে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়েছে বন্দুকের নল দেখিয়ে। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কীভাবে লুঠপাট করেছে, কাটমানি নিচ্ছে আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ, খাল সংস্কারের জন্য় যে মাটি ছিল, ঘাস ছিল, অবাধে কীভাবে বিক্রি করেছে। প্রত্যুত্তর দেওয়ার সময়ে এসেছে ভাঙরবাসীর কাছে। ভাঙরবাসী প্রস্তুত হয়েছে প্রত্যুত্তর দেবে। ভয় পেয়েছে, ক্ষমার নাটক করছে। এই ক্ষমার নাটকে ভাঙরবাসীর মন ভরবে না'।
কী প্রতিক্রিয়া অন্য বিরোধীগুলির? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আজকে যাঁরা এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে গ্রহণ করেছে, পরীক্ষা করেছে এবং প্রত্যাখ্যান করেছে। তৃণমূলের শেষের সেদিন আর বেশি দূরে নেই। বারবার মানুষ ক্ষমা করে না, তৃণমূলকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মানুষ প্রস্তুত'।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, পিতা আরাবুল, 'সে যা করেছে সবাই দেখেছে। তার ছেলে হাকিবুল সে কী বলছে, ভাঙড়ের সাধারণ মানুষ উত্তর দেবে। এরা কেউ কিছু নয়, মাথা একজনই। তৃণমূল দল দুষ্কৃতীদের নিয়েই চলে। বাকি ওখানকার মানুষ, কেউ কম বোঝে না। তারা বলবে'।