জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এলাকাটির একপাশে লাটাগুড়ি বনাঞ্চল, অন্য পাশে নেওড়া নদী। মাঝে মেটেলি ব্লকের ছাওয়াফেলি নয়াবস্তি। গ্রামে প্রায় ৪০ পরিবারের বাস। সকলেই তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। তাদের নানা সংকট। তবে এই মুহূর্তে সব চেয়ে বড় সমস্যার মুখে এলাকার খুদেরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সেদিন কেন বরফদেশ থেকে নেমে এলেন অলৌকিক শক্তির অধিকারী বাবা লোকনাথ...


ভরা এই বর্ষার মরশুমে  চারমাস স্কুল যেতে পারে না ওই এলাকার প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া। এর অনেক কারণ। প্রথমত, এই বস্তিতে কোনও স্কুল নেই, নেই কোন শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, নেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তাই বাধ্য হয়ে নেওড়া নদী পেরিয়ে মালব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রাথমিক স্কুলে পড়তে যেতে হয় তাদের।


নদী পারাপারের জন্য  ব্লক প্রশাসনের তরফে একটা নৌকা থাকে। তবে সেখানে নেই কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা, থাকেন না স্থায়ী কোনও মাঝি। তবে বর্ষায়, এই নদী পারাপার বন্ধ থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই চার মাস পড়ুয়াদের পড়াশোনাও বন্ধ থাকে। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা দিনভর এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়, অমূল্য সময় নষ্ট হয় তাদের।


তবে বর্ষার মধ্যেও যাতে পড়ুয়াদের পড়াশোনা ব্যাহত না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার অভিভাবকেরা। এলাকায় এক বাসিন্দা রাজেন মুন্ডা বলেন, বর্ষার মরশুমে চারমাস স্কুল যেতে পারে না  ছাওয়াফেলি নয়াবস্তির প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া। কারণ, লাটাগুড়ি জঙ্গলের ধারে এই বস্তিতে কোনও স্কুল নেই। এদিকে, এবারে নদীতে যে-পরিমাণ জল রয়েছে তাতে, বাচ্চাদের পক্ষে নদী-পারাপার ঝুঁকির। সুচিত্রা মুন্ডা নামে এলাকার আর-এক অভিভাবক বলেন, স্কুলে যেতে না পেরে বাচ্চাদের পড়াশোনা লাটে উঠেছে। যেহেতু নেওড়া নদীতে প্রচুর জল এখন, তাই স্কুলে যেতে পারছে না বাচ্চারা, বাড়িতেও ওদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ। প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ছাওয়াফেলি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে বাচ্চাদের আমরা এখন পাঠাতে পারছি না। পুরো রাস্তাটাই জঙ্গলের পাশ দিয়ে গিয়েছে। দিনের বেলাতেই সেখানে হাতি-বাইসন বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা না করে, তবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা করতে পারবে না। 


আরও পড়ুন: Weather Today: বৃষ্টি কমতেই বাড়বে তাপমাত্রা, ফের অস্বস্তিকর গরমের পূর্বাভাস!


আর পড়ুয়ারা কী বলছে?


সাহিল ওঁরাও, রিয়ান্স মুন্ডা নামে দুই পড়ুয়া জানায়, নৌকা করে নদী পেরিয়ে স্কুলে যেতে এই সময়ে তাদের ভয় লাগে। তাই নদীতে যতদিন জল থাকে ততদিন তারা স্কুলে যায় না। পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও বাধ্য হতেই বাড়িতেই বসে থাকতে হয় তাদের। সাহিল, রিয়ান্স আরও জানায়, 'আমাদের বস্তিতে যদি একটা স্কুল থাকত তাহলে খুব ভালো হত। রোজ স্কুলে যেতে পারতাম।'


ব্লক শিক্ষা বিভাগের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)