`বেশি কিছু করিনি, আমার বাবা-মা থাকলেও এমনটাই করতাম`, বলছেন নিমতার সুরজিৎ
৯০ বছরের ওই বৃদ্ধাকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া থেকে তাঁর চিকিৎসা, ওষুধপত্র সব কিছুরই ব্যবস্থা করেন সুরজিৎ চক্রবর্তী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বৃদ্ধা মাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল ছেলে। একাকী বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে আশ্রয় দিলেন এক সহৃদয় ব্যক্তি। লকডাউনের মধ্যেই অমানবিকতা ও মানবিকতা, একইসঙ্গে দুয়েরই সাক্ষী রইল শহরবাসী।
জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ৯০ বছরের ওই বৃদ্ধাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ছেলে। রাস্তায় উপর ওই বৃদ্ধাকে একাকী পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে নিজের বাড়িতে তুলে আনেন নিমতার মুখার্জি বাগানেরবাসিন্দা সুরজিৎ চক্রবর্তী। লকডাউনের মধ্যে যেখানে বহু মানুষ বহু সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, সেখানে একজন অজেনা-অচেনা বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে নিজের বাড়িতে তুলে এনে মানবিকতার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন সুরজিৎ বাবু। নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া থেকে ওই বৃদ্ধার চিকিৎসা, ওষুধপত্র সব কিছুরই ব্যবস্থা করেন সুরজিৎ চক্রবর্তী।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধাকে তাঁর ছেলে দিন তিনেক আগে জামাকাপড় সহ বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। লকডাউনের মধ্যে কেউ এগিয়ে এসে সাহায্যও করেননি ওই বৃদ্ধাকে। এমন অবস্থায় দমদম থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। কিন্তু অভিযোগ, দমদম থানার পুলিস এরপর ওই বৃদ্ধাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মাঠকলের পঞ্চবটিতলায় ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।
ঠিক তার কিছু পরই সুরজিৎবাবু তাঁর বন্ধুকে নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। একাকী বৃদ্ধাকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখেন তিনি। দেরি না করে তখনই ওই বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন। এরপর তাঁর থাকা খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। সুরজিৎ বাবুর কথায়, "আমার বাবা, মা থাকলেও এমনটাই করতাম। মানবিকতার নিরিখেই একাজ করেছি।"
আরও পড়ুন, লকডাউনের মধ্যে বাড়িতেই স্ত্রীর সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারালেন প্রৌঢ়