নিজস্ব প্রতিবেদন: নিমতার দেবাঞ্জন দাস হত্যাকাণ্ডে নিয়োগ করা হয়েছিল সুপারি কিলার। এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিস। নবমীর রাতে বান্ধবীকে তার বিরাটির বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার পরই গুলি করা হয় দেবাঞ্জনকে। এর পরেও উঠছে প্রশ্ন। গাড়িতেই কি ছিল আততায়ী? তা সম্ভব কীভাবে?  কীভাবে আততীয়রা গাড়িতে উঠল?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'ওরে আমার কাঁচা' মন্ত্রে সিপিএমের রাজ্য সংগঠনে ব্যাপক রদবদল, সরলেন পক্ককেশীরা


কেন উঠছে এরকম প্রশ্ন?  দেবাঞ্জনের দেহ পুলিস যখন উদ্ধার করে করে তখন গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে দেবাঞ্জন। গাড়ির তিন দিকের জানলা বন্ধ। একমাত্র দেবাঞ্জনের সিটের দিকের জানালা খোলা।


দেবাঞ্জনের দেহ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে দেবাঞ্জনের ঘাড়ের বাঁদিকে ও হাতের বাঁদিকে গুলির দাগ রয়েছে। এখন আততায়ী বা সুপারি কিলার যদি গাড়ির বাইরে থেকে গুলি চালাত তাহলে সেই গুলি লাগত দেবাঞ্জনের ঘাড় ও হাতের ডান দিকে। এখানেই প্রশ্ন। তাহলে কি খুনের সময়ে গাড়ির ভেতরেই ছিল আততায়ী বা সুপারি কিলার?



এদিকে, ঘটনার সময় তাঁর বান্ধবী ঠিক কোথায় ছিলেন, সেটা জানতে তরুণীর মোবাইল লোকেশন এবং কল ডিটেলসও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত ও তার দলবলের খোঁজে রাতভর দমদমের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাসি চালায় নিমতা থানা ও বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। পুলিসের অনুমান, দেবাঞ্জনের মৃত্যু নিশ্চিত জানার পরই সকলে গা ঢাকা দিয়েছে।


আরও পড়ুন-সুপারি কিলার নিয়োগ করেই দেবাঞ্জনকে খুন! নিমতাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিস


নিমতায় যুবকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খারিজ হয়ে যায় পুলিসের খাড়া করা গাড়ি দুর্ঘটনার তত্ত্ব। স্পষ্ট হয় নিছক দুর্ঘটনা নয়, গুলি করেই খুন করা হয়েছে দেবাঞ্জন দাসকে। ময়নাতদন্তে বুলেটের আঘাতের দাগ মিলেছে দেবাঞ্জনের শরীরে।