নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয়। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকেই দলের দিশা স্পষ্ট করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই পথে হেঁটেই জেলায় জেলায় দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের শোকজ করছে ঘাসফুল শিবির। তালিকায় নয়া সংযোজন হয়েছে নন্দীগ্রাম ও মালদহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাশাপাশি এ নিয়ে ফের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। "কোনও মতেই দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে শাস্তি হবেই, পতাকার রং দেখা হবে না। এদিন আরও একবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে একাধিক ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন: উত্থানের সেই নন্দীগ্রাম! দুর্নীতির অভিযোগে দলের ২০০ জন নেতাকে একসঙ্গে শোকজ করল তৃণমূল


দুর্নীতি প্রসঙ্গে

বাংলায় ৮০ হাজার বুথ। তার মধ্যে হাজার খানেক বুথে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু যাই হোক শুধু তাড়িয়ে দিলে হবে না। আমরা দেখব কী শাস্তি দিতে হবে। দুর্নীতির কথা বলে বাংলার পূনর্গঠনের কাজকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। এইসব কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্বিক পরিশ্রমকে ব্যর্থ করবার চেষ্টা চলছে।


আইনের শাসন প্রসঙ্গে 
বাংলায় যদি আইনের শাসন না থাকে তাহলে কি উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন আছে। উত্তরপ্রদেশে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরা কি দেখছেন না সেখানে কী চলছে। দীলিপবাবু উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকান। আমরা এ দিকে সময় নষ্ট করতে রাজি নই আমরা বাংলার পুনর্গঠন এর কাজ করছি। সেদিকেই আমাদের মন।


পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে
কয়লার হেডকোয়ার্টার সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। ট্রেনের জাতীয় লাইফলাইন তাকে বেসরকারি হাতে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একুশে জুলাই দুটোর সময় ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পেট্রোল ডিজেল সমস্ত কিছুর দাম নিয়ে বিধিসম্মতভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি সংঘটিত করব


তৃণমূল হতাশা থেকে লাল চোখ দেখাচ্ছে, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে
দিলীপবাবু কী যেন বলেছিলেন। ফেসবুকে কিছুদিন আগে স্যোশাল সাইটে দিয়েছিলেন 'বদল হবে বদলাও হবে'। সেটা কী থেকে বলেছিলেন? আসলে এখন নিজের কথাই ঢোক গিলতে হচ্ছে।


গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে 
বারবারই বলি দীলিপবাবুর নিজের দল সামলান। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে। তৃণমূল সংগঠন বিষয়গুলো নিয়ে নেমেছে। কারা দুষ্কৃতী তা সবাই চিহ্নিত করতে পারবে। দুষ্কৃতীদের যে বিজেপি মদত দিচ্ছে সেটার জলের মতো পরিষ্কার। হঠাৎ সবকিছু ছেড়ে দিয়ে করোনার চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করছে আর দিলীপ বাবুর বাড়িতে বসে বসে বুকনি মারছেন। আমার কিছু বলার নেই উনি কী করছেন।