নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে বিজেপির মরা গাঙে বান এসেছে গত কয়েক বছর ধরেই। আর বাঁধ ভেঙেছে লোকসভা নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর। ঝাড়াই বাছাই না করে দলে লোক ঢোকানোর ফলও হাতেনাতে ভুগছে তারা। গত কয়েকদিনে নাক - কাটতে আর কিছু বাকি নেই রাজ্য বিজেপির। দলে দলে যেমন যোগদান হয়েছিল, তেমনই তৃণমূলে ফিরেও গিয়েছে দলে দলে। ভবিষ্যতে এই ধরণের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবার কড়া হল রাজ্য নেতৃত্ব। বন্ধ হল দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদান। সোমবার দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া দিল্লিতে গিয়ে যোগদান আর চলবে না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বিজেপিতে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদটি RSS - বিজেপির সেতুবন্ধের কাজ করে। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে লাগাতার যে ভাবে বিজেপিতে যোগদান হয়েছে তাতে আগেই আপত্তি জানিয়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। তাঁদের কথায়, যাঁদের সঙ্গে দল বা সংগঠনের নীতি-আদর্শের কোনও যোগ নেই তাদের দলে নিয়ে কতটা এগনো সম্ভব?


RSS -এর আপত্তি যদিও ধোপে টেকেনি। মুকুল রায়ের জাদুতে বিধায়ক, কাউন্সিলর থেকে পঞ্চায়েত প্রধান, দলে দলে যোগদান করতে থাকেন বিজেপিতে। ওদিকে বিজেপি ভয় দেখিয়ে দল ভাঙছে বলে অভিযোগ করতে থাকে তৃণমূল। 


রাজ্য বিজেপি নড়েচড়ে বসে লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামের যোগদানের পর। যার বিরুদ্ধে লাগাতার বিজেপিকে চরম নির্যাতন করার অভিযোগ, তাঁকে দলে টেনে ফেঁসে যান মুকুল রায়। তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যে। এর পরই রাজ্যে নেতৃত্ব স্তরে যোগদানের ক্ষেত্রে ৩ সদস্যের কমিটির ছাড়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয় মুরলীধর স্ট্রিটের গেরুয়া বাড়ি থেকে। সেখানেই অস্বস্তির শেষ নয়, এর পর তৃণমূলে ফেরা শুরু করেন কাঁচরাপাড়া ও ভাটপাড়ার কাউন্সিলররা। ফলে অস্বস্তি চরমে পৌঁছয়। 


যত খুশি গালাগালি দিন, তৃণমূলের পাশে থাকা নিয়ে মত বদলাবে না, বললেন তন্ময়


রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশের কথায়, মুকুল রায়ের দলভাঙানোর খেলায় দলে অরাজকতা তৈরি হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্ব এমনকী রাজ্য সভাপতির অজ্ঞাতে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে একাধিক বিধায়ক, কাউন্সিলরকে দলবদল করিয়েছেন মুকুল। কৈলাশ - মুকুল জুটির এই কর্মকাণ্ডে সংগঠনে ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন পুরনোপন্থীরা। তাই এবার জারি হল কড়া নির্দেশ।