নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার জেরে ৫ মাস ঘরবন্দি শিশুরা। এই অবস্থায় তাঁদের মনে নেতিবাচক প্রভাব কাটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদেরও গৃহবন্দি দশায় কার্যত ওষ্ঠাগত প্রাণ। এবার শিশু মনকে বিকশিত করার হাজারো উপকরণ নিয়ে হাজির নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। রাজ্যের প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রায় ৩৫ লক্ষ শিশুকে বিশেষ ধরনের শিক্ষা দেবে দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: তৃণমূল সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের রদবদল, মেন্টর পদ থেকে অব্যাহতি শুভেন্দুকে


অনলাইন শিক্ষার সুযোগ নেই এইসব শিশুর। গ্রামীণ এলাকা তো দূর, শহরের অঙ্গনওয়াড়ি পড়ুয়াদের সিংহভাগ অভিভাবকের পক্ষে অনলাইন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাহলে উপায়? উপায় ভেবেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শিশু মনকে ফের সজীব করে তোলার রসদও তৈরি। 


অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী পড়ুয়াদের জন্য সিলেবাস উপযোগী ছড়া, রূপকথার গল্প আর জিংগেল বানিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের কাছে। কীভাবে পৌঁছচ্ছে মনবিকাশের সেই রসদ? নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অডিও ফরম্যাটে ওই সমস্ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁদের কথাও ভেবেছে রাজ্য সরকার।


আরও পড়ুন: দুনীর্তির শিকার হলে ফোন করুন ৭০৪৪০৭০৪৪০ : দিলীপ ঘোষ


সাধারণ ফোনেও এই অডিয়ো ফাইল খুললেই শোনা যাবে অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আমটি আমি খাব পেরে। কিংবা "ইংরেজি বর্ণপরিচয়"- এর এ ফর অ্যাপল, বি ফর ব্যাট অথবা হাট্টিমাটিম টিম-র মতো শিশুশিক্ষার চিরাচরিত আপ্ত বাক্য। 


দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজার কথায়, ইতিমধ্যেই কয়েকটি জেলায় এই প্রয়াস শুরু হয়েছে। অভূতপূর্ব সাড়াও মিলছে। পড়ুয়াদের পরিবারও উৎসাহিত হচ্ছেন অডিও ফরম্যাটে শিক্ষাদানের এই চেষ্টায়। নিজের পছন্দের ছড়া আর জিঙ্গেলের মধ্যে দিয়ে লেখাপড়া ঝালিয়ে নিতে গিয়ে, শিশুমন যদি কিছুটা হলেও চাঙা হয়ে ওঠে, বিপর্যয়ের এই পর্বে সেটাই হবে আমাদের বড় প্রাপ্তি।