নিজস্ব প্রতিবেদন: নদীতে ভেসে উঠেছে শয়ে শয়ে মরা নদীয়ালি মাছ। সেইসব মাছ কুড়োতে সাতসকালেই মানুষের ঢল নামল জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের মূর্তি নদীতে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিষক্রিয়া থেকেই মৃত্যু হয়েছে ওইসব মাছের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আকাশ পথে ফের মোদীকে বাধা পাকিস্তানের


ঘটনার খবর পেয়ে গরুমার অভয়ারণ্য লাগোয়া মূর্তি নদীতে যান জেলা পরিষদের মত্স কর্মাধ্যক্ষ সীমা সরকার, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান বাপন রায়, ভূগোল মূর্তি সোশ্যাল ওয়ার্ক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসনের সম্পাদক সাহের আলী। নদীর জল পরীক্ষা করে দেখেন মেটেলি ব্লক মত্স আধিকারিক জয়দীপ মহিনতামনি।


মৎস কর্মাধ্যক্ষ সীমা সরকার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আজ ভোরে মূর্তি নদীতে আসি। বহু নদীয়ালি মাছের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে বিষক্রিয়ার ফলেই এই ঘটনা। আর আগে জেলা পরিষদ থেকে মূর্তি নদীতে বহু নদীয়ালি মাছ ছাড়া হয়েছে। সংলগ্ন এলাকার জনগণকে নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হবে। স্বেচ্ছাসেবী সাহের আলী বলেন, এই ভাবে নদীতে বিষদেওয়া হলে নদীয়ালি মাছ একদিন ধংস হয়ে যাবে। মূর্তি নদীর জল গরুমারার বন্যপ্রাণী রাও পান করে। বিষাক্ত ওই জল পান করে বন্যপ্রাণীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।



আরও পড়ুন-মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে খতম দুনিয়ার এক নম্বর জঙ্গি বাগদাদি, অবশেষে ঘোষণা ট্রাম্পের


মেটেলি ব্লক মৎস আধিকারিক জয়দীপ মহিনতামনি বলেন, নদীর জল পরীক্ষা করে দেখা গেল তীব্র কোনো বিষ দেওয়া হয়নি। মরা মাছের নমুনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। তবে কী ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে সেটি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ময়নাগুড়ির রামসাই এলাকায় একটি নদীতে বিষক্রিয়ায় বহু মাছের মৃত্যু হয়। এবার একই ঘটনা ঘটল মূর্তি নদীতে। একের পর এক বিষ প্রয়োগের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে। ঘটনার পর আজ সকাল থেকেই মূর্তি নদীর ওই এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করেছে বনকর্মীরা।