অনুপ কুমার দাস: ব্যস্ততার জন্য বহু মানুষের বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ সদস্যকে দেখাশোনা করার সময় থাকে না। তাই অনেকেই বাড়িতে আয়া রেখে থাকেন যাতে তিনি বৃদ্ধ মানুষদের সময়মত যত্ন নিতে পারেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, যা দেখার পর বাড়িতে আর কেউ আয়া রাখবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাড়হিম করা সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়,৭২ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধাকে তার নিজের বাড়িতে আয়া পা ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে বাথরুমে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আঁতকে ওঠেন বৃদ্ধার ছেলের। সঙ্গে সঙ্গে দ্বারস্থ হন পুলিসের। থানায় গিয়ে বৃদ্ধার ছেলের  অভিযোগ জানান যে তাঁর মাকে প্রত্যেকদিন অত্যাচার করত আয়া। গত কয়েকদিন আগে আয়া কাজ ছেড়ে দেয়, তখন মা আরও অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃদ্ধার তিনবার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে।


ফুটেজে দেখা যায়, বৃদ্ধাকে পা ধরে টানতে টানতে বাথরুমে নিয়ে যাবার সময় মাথায় চোট লাগে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার ছেলে দেবরাজ মণ্ডল কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে। পারিবারিক অশান্তির কারণে সে তার শ্বশুর বাড়িতে থাকে। মাকে দেখাশুনা করার জন্য আয়া রাখেন। বাড়ির বাইরে থেকেও যাতে মাকে দেখতে পারে, তাই তিনি বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগান। সেই ক্যামেরা ছবি দেখে হতবাক ছেলে, কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করে বৃদ্ধার পুত্র,পুলিস তদন্তে। বৃদ্ধার নাম করুণা রানী মন্ডল। ঘটনাটি ঘটে নদীয়ার কৃষ্ণনগর শহরে রায়পাড়াতে।


আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়া নিয়ে জোর চাঞ্চল্য! কে ছিঁড়ল...


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নদীয়াতেই এক হাড়হিম ঘটনা সামনে আসে। নদীয়ার জেলার ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি গ্রামের ঘটনা।  সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে পড়ে প্রতিবেশী যুবক। তারপর গৃহবধূকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা চালায় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসার পথে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। ওই মহিলাকে শারীরিক অত্যাচার করেছে যুবক এবং মাথায় আঘাতও করেছে বলে জানা যাচ্ছে। 


পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রতিদিনের মতোই ওই মহিলা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন ঘরে। সেই সুযোগে, পাশের গ্রামের এক যুবক গভীর রাতে ওই মহিলার বাড়িতে ঢোকে সিঁধ কেটে। মৃতার স্বামী থাকেন বিদেশে। এই ঘটনার পরদিন সকালে মৃতার শাশুড়ি বাড়ির পেছনে গিয়ে দেখেন যে, বিভিন্ন সরকারি কাগজ পড়ে রয়েছে বাইরে। এরপরই তিনি দেখেন যে, ঘরের সিঁধ কাটা। ঘরে গিয়ে দেখেন তাঁর বউমা অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থা দেখার পর তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকেরা তখনই ছুটে আসেন। মহিলাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছি। মাঝপথেই মৃত্যু হয়। দেহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)