নিজস্ব প্রতিবেদন:  শ্বশুরকে খুন করে হাত পা কুচি কুচি করে কেটে বস্তা বন্দি করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। অভিযোগ উঠল বৌমার বিরুদ্ধে। গা শিউরে উঠবে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার আষাড়ি গ্রামের এই ঘটনা শুনে। নেপথ্যে আরও রোমাঞ্চ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে আচমকাই ফাটল বোমা!


পাঁশকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম আড়ংগ্রাম। এখানেই কিছুদিন আগে ঝোপের মধ্যে পড়েছিল একটি বস্তা। কুকুরে খুবলে বার করেছিল হাতের টুকরো। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে স্থানীয়দের। খবর যায় পুলিসে। বস্তার মুখ খুলতে ভোটকা গন্ধে পাকিয়ে ওঠে গা। দেহে পচন ধরেছে। গলে গেছে মুখের একাংশ। তবুও দেহ দেখেই সন্দেহ হয়েছিল পাঁশকুড়া থানার পুলিসের। এই দেহের মুখের আদলের সঙ্গে মিল রয়েছে তাঁদের কাছে জমা পড়া নিখোঁজ ব্যক্তির ছবির। সেখান থেকেই শুরু হয় অন্য পথে তদন্ত।



ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছে?


গত ১৮ জানুয়ারি, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানায় বাবা নিখিল মাইতির নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভ মাইতি নামে এক ব্যক্তি। তদন্ত শুরু করে পিংলা থানার পুলিস। ছেলে ও বৌমার কথাবার্তা শুনে প্রথম থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধছিল পোড় খাওয়া তদন্তকারীদের। কিন্তু কিছুতেই বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে সূত্র বাতলে দেয় পাঁশকুড়া থানার পুলিস। নিখোঁজ শুভ মাইতির বস্তাবন্দি টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধারের পর অন্য পথে তদন্ত শুরু করে পুলিস।


আরও পড়ুন: খাটে স্ত্রীর দেহ, মাথার পাশে স্বামীর গলার নলি কাটা শরীর


ঘটনার সূত্রপাত ১৭ জানুয়ারি। নিখিল মাইতির খুনের ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে তাঁরই বৌমার নাম। তদন্তে জানা যায়, শ্বশুরকে প্রথমে কুপিয়ে খুন করেন বৌমা। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য হাত-পা ধড় থেকে আলাদা করে কাটা হয়। দেহাংশ একটি বস্তার ভর্তি করা হয়। রাতে স্বামী বাড়ি ফেরার পথ তাঁকে সব কথায় জানান তিনি। বস্তাটিকে নিয়ে রাস্তায় বের হন তাঁরা। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে বস্তাটিকে তুলে দেন শুভ। স্ত্রীকে নিয়ে ওই লরিতেই ওঠেন তিনি। এরপর পাঁশকুড়া গিয়ে আড়ংগ্রামের ওই জঙ্গলে ফেলে দেন বস্তাটিকে। ১৯ জানুয়ারি থানায় গিয়ে বাবার নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।


আরও পড়ুন: লটারির নেশাতেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়েকে খুন, বাদ গেলেন না স্ত্রীও!


এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু তদন্তকারীদের প্রশ্ন, কেন একাজ করতে গেলেন বৌমা?


অভিযুক্ত বৌমার দাবি, ঘটনার দিন আগে শ্বশুর তাঁকে ঘরে একা পেয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁর সঙ্গে অশ্লীল কাজ করার চেষ্টা করেন। নিজেকে বাঁচাতেই তিনি একাজ করেছেন বলে দাবি তাঁর।


তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তের দাবি মানা হলে, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে সেই নারী নিরাপত্তা নিয়েই।