পুলিস কর্মী একমাত্র ছেলের কাছে আশ্রয় মেলেনি, প্লাটফর্ম থেকে উদ্ধার অসুস্থ বৃদ্ধ
অসহায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করে মানবিক মুখের পরিচয় দিল দাঁইহাটের একদল যুবক
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাঁইহাট স্টেশনের পুরনো টিকিট কাউন্টারের সামনে বসে অঝোরে কাঁদছিলেন বৃদ্ধ শঙ্কর মুখোপাধ্যায়। তাঁর অবস্থা দেখে এগিয়ে এলেন এলাকারই কিছু যুবক। সহায় সম্বলহীন ওই বৃদ্ধকে প্রথমে তাঁরা নিয়ে যান কাটোয়া ২ নম্বর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে। খবর দেন পুলিসে। শুধু তাই নয় ওই বৃদ্ধের ভার নিতেও চান বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
বৃদ্ধ শঙ্কর মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বলেন, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় পুলিশের কাজ করা তাঁর একমাত্র ছেলে নাকি তাকে দেখে না। খোঁজও নেয় না। এতদিন মন্তেশ্বরের হাটপাড়ায় মেয়ের আশ্রয়ে ছিলেন। গত রবিবার দুপুরে মেয়ে লক্ষী পণ্ডিত মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর দুদিন পায়ে হেঁটে মন্তেশ্বর থেকে ২৪ কিমি পথ পেরিয়ে কাটোয়া-ব্যাণ্ডেল শাখার দাঁইহাট স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
শঙ্কর মুখার্জির বিড়ম্বনা শুরু হয় ২০০৮ সালে স্ত্রী সুরবালার মৃত্যুর পর থেকেই। ছেলের কাছে কিছুদিন থাকার পর ছেলের বৌ মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। ছেলে রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও নাকি বাবাকে রাখতে শর্ত জারি করেছিল বলে দাবি শঙ্করবাবুর। বাবা কাজ করে যে টাকা রোজগার করবে তার সবটাই ছেলের হাতে তুলে দিতে হবে। শর্ত মানবেন না বলে দু বছর আগে মেয়ের কাছে মন্তেশ্বরে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। মেয়ে আর বাবার বোঝা টানতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে, শঙ্করবাবুকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানোর জন্য কাটোয়ার প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে । যুবকদলের পক্ষে সুমন দাস জানান যদি প্রশাসন এই বৃদ্ধের কোন ব্যবস্থা না করতে পারে তো আমরাই রেখে দেব।