আচমকা বিমানের মতো বিকট শব্দ, এক মিনিটের টর্নেডোয় লন্ডভন্ড Hingalganj-র গ্রাম
হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ী বলেন, এক মিনিটেরও কম সময়ে স্থায়ী হয়েছিল টর্নেডো
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইয়াসের পর রাজ্যের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছিল টর্নেডোর। কোথাও মিনিট খানেক, কোথাও তার থেকে একটু বেশি সময়ের ঝড়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে এমনই এক ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল হিঙ্গলগঞ্জের একটি এলাকা।
আরও পড়ুন-'বৈঠকের ইতিবাচক ফল ভবিষ্যতে,' Sonia-র সঙ্গে বৈঠকের পর জোট-ইঙ্গিত Mamata-র
এদিন হিঙ্গলগঞ্জ (Hingalganj)থানা থেকে সাহাপুর পর্যন্ত এক কিলোমিটারেরও কম একটি এলাকা দিয়ে বয়ে যায় তীব্র ঝড়। এক মিটিটের কম সময়ের ওই ঝড়। আচমকা ওই ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে য়ায় এলাকা। উড়ে য়ায় বহু ঘরের চাল, উপড়ে মাটিতে পড়ে বহু গাছ বিদ্যুতের খুঁটি। আচমকা ওই ঝড়ে দিশেহারা হয়ে যান এলাকার মানুষজন। আতঙ্গে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন অনেকে।
এ বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ী বলেন, এক মিনিটেরও কম সময়ে স্থায়ী হয়েছিল টর্নেডো(Tornedo)। তাতেই স্থানীয় সাহাপাড়া থেকে হিঙ্গলগঞ্জ থানা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাতে কুড়িটির উপর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। সাতটি বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যে দফতরের অফিসারেরা পলিথিন এবং খাবার নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এ দিন সকাল থেকে কালো মেঘে ঢাকা ছিল গোটা আকাশ। দুপুরের পর থেকেই হালকা বৃষ্টি। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যার পর বৃষ্টির তেজ আরো বাড়তে থাকে। রাত ন’টা নাগাদ হটাৎ গোঁ গোঁ শব্দে ঝড় আছড়ে পড়ে হিঙ্গলগঞ্জের সাহাপাড়া থেকে থানা মোড় পর্যন্ত। সব লন্ডভন্ড করে দেয়। মুহুর্তের মধ্যে একের পর এক গাছ,মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে।কারো ঘরের চালের টালি,টিন, অ্যাসবেস্টার উড়ে যায়। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি।
আরও পড়ুন-বাংলায় প্রধান শত্রু ঠিক করতে হবে, দিল্লিতে CPM-কে বার্তা Mamata-র
বুধবার ভোরে ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতের আতঙ্কের রেস তখনও কাটেনি। অনেক গাছ ভেঙে কিম্বা উপড়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব দাস বলেন,‘‘এক মিনিটেরও কম সময়ের ঝড়ে, বাড়ি ভেঙে,গাছ উপড়ে আমাদের বড় ক্ষতি হয়েছে। সব কিছু নষ্ট হওয়ায় ভয়ে, আতঙ্কে আমরা আর রাতে ঘরে ঢুকতে না পারায় খাওয়া হয়নি। বিডিও-র সাথে হাতে হাত লাগিয়ে ভোর পর্যন্ত গাছগাছালি সরিয়ে রাস্তা পরিস্কার করেছি।’’ রাত জাগা সুস্মিতা দাস, বলেন,‘রাত তখন বড়জোর নটা হবে। জোর বৃষ্টির মধ্যে রান্না ঘরে বসে ভাত রাঁধছিলাম। হটাৎ প্লেনের মতো প্রচন্ড শব্দ শুনে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে ঘর ও রান্না ঘরের চাল উড়ে যায়।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)