নিজস্ব প্রতিবেদন: কোথায় গেল আমফানের ত্রাণ? কেমন আছেন ক্ষতিগ্রস্থরা? গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছে গিয়েছে Zee ২৪ ঘণ্টা। আমাদের রিপোর্ট দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বিরোধীরা। সিপিএম (CPM) নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) প্রতিক্রিয়া, 'কমপ্লিট দুর্নীতি। জঘন্য অপরাধ হচ্ছে। সরকার নির্লজ্জ, দু'কান কাটা।' বিজেপির (BJP) জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jay Prakash Mazumder) বিস্ফোরক অভিযোগ, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে ত্রাণের টাকা লুট করেছে তৃণমূল কর্মীরা।' এমনকী, এখনও যে ত্রাণ সবজায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়ও (Tapas Roy)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২০ সালের মে মাস। ভয়াবহ আমফানের দাপটে সর্বস্ব হারান ওঁরা। ত্রাণ শিবিরে থেকে ফিরে গিয়ে দেখেছিলেন, তছনছ হয়ে গিয়েছে মাথার ছাদ। বছর ঘুরে গিয়েছে, তবে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি এতদিনেও। খাতায়-কলমে সরকারি ত্রাণ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাহায্য আসেনি! আদৌও কী আসবে? অসহায় পরিবারগুলি হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁদের আক্ষেপ, 'কত আবেদন করেছিলাম কিন্তু লাভ হয়নি'। এমনকী, ত্রাণ না পেয়ে যাঁরা অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে কখনও ২০০, তো কখনও আবার ৩০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের বেশির জায়গায়ই এমনই ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছে Zee ২৪ ঘন্টার ক্যামেরায়।


আরও পড়ুন: কোথায় গেল Amphan-র ত্রাণ, কেমন আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা? গ্রাউন্ড জিরোয় Zee ২৪ ঘণ্টা


কেন এমনটা হল? কেন দুর্ভোগ ঘুচল না গবীর অসহায় মানুষদের? আমরা যোগাযোগ করেছিলাম সিপিএম (CPM) নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) সঙ্গে। Zee ২৪ ঘণ্টা-কে তিনি জানালেন, 'আমফানে ত্রাণে নাকি খরচ হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছিলাম, তালিকাটি কি গ্রামের পঞ্চায়েতে বা বিডিও অফিসে ঢাঙিয়ে দেওয়া হবে? মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, হ্যাঁ। কিন্তু বিডিও অফিসে তালিকা ঢাঙানো হয়নি। কেউ জানে না, টাকা কে পেয়েছে! যাঁর পাওয়ার কথা নয়, সে পেয়েছে। ওরা যাকে দিয়ে চায়, ভাঙা বাড়ির সামনে ছবি তুলে, তাকে দিয়েছে। এই গরীর মা মানুষগুলিকে দেখেও কি সরকারের বোধোদয় হবে না? মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছিলাম, কোনও উত্তর পাইনি।' বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার অবশ্য কোনও রাখঢাক রাখেননি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতেই আমফান ত্রাণের টাকা লুট করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। আর তৃণমূল? দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, 'আমফানে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যা অনুদান দিয়েছে, তা সিন্ধুতে বিন্দুতে। সব জায়গায় হয়তো সমানভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়নি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চেষ্টা চলছে। দেখা হচ্ছে, দেখা হবে।' সে না হয় বোঝা গেল, কিন্তু এই গরীব মানুষগুলি কীভাবে? কবে তাঁরা ত্রাণ পাবেন? উত্তর জানা নেই কারও।


আরও পড়ুন: চলতি বছরে বন্ধ হতে পারে Gangasagar Mela, কড়া পর্যবেক্ষণ High Court-এর


এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, আমফানে দুর্নীতির অভিযোগের জল গড়িয়েছে আদালতে। জনস্বার্থ মামলায় ক্যাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। এদিকে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য সরকারও। চলছে চাপানউতোর।