বিমল বসু: সন্দেশখালী ১ নম্বর ব্লকের ন্যাজাটে বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে আগুন। গত পরশু তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনার পাল্টা বলে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের ন্যাজাট থানা এলাকা। গতকাল রবিবার গভীর রাতে ন্যাজাট বাজার সংলগ্ন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তৃণমূল। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে।


দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথি, চেয়ার, টেবিল সব পুড়ে ছারখার হয়ে যায় বলে দাবি তাদের। গত পরশু অর্থাৎ শনিবার রাতে তৃণমূলের পার্টি অফিস আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায়।


আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: সিপিআইএম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর স্বামীর উপর হামলা! লাঠি, রড, কাঁচের বোতল ভেঙে মারধর...


তৃণমূল অভিযোগ করে যে বিজেপি ও সিপিএম রাতের অন্ধকারে তাদের পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই ন্যাজাট বাজারে বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


এই ঘটনার পরে সোমবার সকালে বিজেপি কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাদের বাধা দেয় পুলিস এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিসের দাবি ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এই কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে নলে জানা গিয়েছে।


পুলিস ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার কথা মাইকে ঘোষনা করেছে। এই ঘটনায় ট্যুইট করে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: অব্যাহত বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গের গজলডোবা


ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালীতে বিজেপির একটি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে টিএমসির গুন্ডা। প্রায় ১০০ জন গুন্ডা মোটরবাইকে এসে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে’।


তিনি আরও লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের কর্মকর্তারা যারা সংখ্যায় কম ছিলেন তাদের মারধর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সাড়া দেননি’।


 



তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘প্রথমত আমাদেরও পার্টি অফিসে সেখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। সেক্ষেত্রে কী বিজেপি-এর পিছনে আছে? আমরা জানি না। তবে এই কথা ঠিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার করে বলেছেন সব দলেরই সংযমের পরিচয় দেওয়া উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথম থেকে বিজেপি যে রোল প্লে করছে তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। এটার পিছনে আদৌ তৃণমূল আছে নাকি বিজেপি নিজেই ভক্টিম কার্ড খেলার জন্য এই কাজ করেছে তাঁর পিছনে যথেষ্ট সন্দেহ আছে’।