প্রসেনজিত্ সরদার: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। আজ দ্বিতীয় দিন। তার মধ্যেই একজন খুন হয়ে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদে। শনিবার ডোমকল-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় গোলমাল হয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে এক সরকারি কর্মচারীর উপরে হামলার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বৈঠকের মাঝেই তলব, রাজভবন ছুটলেন কমিশনার! সাক্ষাতে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের


মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে জেলায় জেলায় তৃণমূলের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কেন মনোনয়নের ফর্ম দেওয়া হল এই অভিযোগ তুলে সরকারি অফিসারকের মারধরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে এমনই অভিযোগ তুলল আইএসএফ। বিদ্যুত্ ঘোষ নামে ওই সরকারি কর্মীকে নাকে ঘুঁসি মারার অভিযোগ উঠল তৃণণূল নেতা রেজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে। চালতাবেরিয়া অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাইম কাদিরকে ফর্ম দেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মী বিদ্যুত্ ঘোষ। সেইসময় আরাবুল ইসলাম ও সওকত মোল্লার মতো নেতাও উপস্থিতি ছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে। এদের উপস্থিতিতেই ওই সরকারি কর্মীকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। 


কি বলেছেন বিদ্যুত্ ঘোষ? 'ডিসিআর কেটেছিলাম। কেন তা কাটা হয়েছে বলে প্রশ্ন করা হল। এসব বলে আমাকে মারল। আমার চশমাটাও ভেঙে টুকরো করে দিয়েছে।' সাইম কাদির  নমিনেশন ফর্ম নিয়ে চলে আসার পর ওই ঘটনা। মারধরের পরই পুলিস এসে সেই সরকারি অফিসারকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে পুলিসের বচসা হয়। তাকেও বিডিও অফিস থেকে বের করে দেয় পুলিস। 


ওই ঘটনা নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে আমাদের এক নেতা নমিনেশের পেপার তুলতে গিয়েছিলেন। তিনি ওই কাগজ তুলে বেরিয়ে আসার সময়ে তাকে ধমকানো হয়েছে। পরে খবর পাচ্ছি, কয়েকজন দুষ্কৃীতি ওখানে গিয়ে, সম্ভবত তৃণমূলের ছত্রছায়ায় লালিত হয়, যে সরকারি আধিকারিক ওই পেপার তুলে দিয়েছিলেন তাকে নাকি মারধর করা হয়েছে। এর সত্যতা জানা দরকার। এটাও জানা দরকার কেন মারধর করবে? নমিনেশন পেপার দেওয়ার জন্যই তো তিনি ওখানে বসে রয়েছেন। সবার স্বাধীনতা রয়েছে নির্বাচনে লড়াই করার। কিন্তু শাসকদল চাইছে বিরোধীরা যেন নমিনেশনের নথি তুলতে না পারে। 


অন্যদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, নমিনেশন দেওয়ার জন্য় এসেছি। একটা অংশের মানুষের কালচার হল, যখন তারা হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়ে তখন তার এরকম করে। আমরা এখানে এসে নমিনেশন দিতে পারব না? যারা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তারা এসব করছে।


ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, গতবারে নির্বাচনে ভোট গণনার দিন বিজেপি জিতেছে অথছ বিডিওর কানে বন্দুক রেখে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে তৃণমূল জিতেছে। আমাদের দলের যারা জিতে গিয়েছিল তাদের জোর করে তৃণমূলে জয়েনও করানো হয়েছিল। সেটা মানুষ ভালোভাবে নেয়নি বলে লোকসভা টিএমসিকে ১২টিসে হারিয়েছিল। রাজ্যে যে লুট, অত্যাচার চলছে তাতে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে। তারা তৃণমূলকে হারাবে। তাই তৃণমূল চাইছে ভোটটা যেন না হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)