জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটা ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল একাধিক জেলা। পরিস্থিতি এমনই যে কয়েকটি উত্তজনাপ্রবণ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছে আদালত। বিরোধীদের অভিযোগ তাদের নমিনেশন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এরকম এক পরিস্থিতিতে ভোটের উত্তাপ বাড়িয়ে দিলেন মদন মিত্র। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তাঁর সাফ হুঁশিয়ারি ব্যালটবাস্কে হাত দিলে ভয়ংকর ফল হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাতিল ট্রেন, দুর্ভোগের শিকার ভোট কর্মীরা


কী বললেন মদন মিত্র? বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, কুরবানি দেখেছেন? সেই কুরবানির জন্য তৈরি হন। প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেব। কিন্তু ব্যালট বাক্সে হাত দিতে গেল সিপিএম, বিজেপি আর কংগ্রেস-যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক, ব্যালট বাক্সে হাত দিতে গেলে হাতটা কিন্তু ব্যালট বাক্সেই থাকে যাবে। স্লোগান একটাই, ইয়ে হাত মুঝে দে দে ঠাকুর।


কিছুদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে গিয়ে প্রবল হইচই করেছিলেন মদন মিত্র। এক স্বাস্থ্য কর্মীর সেই ভর্তি নিয়ে মদনের বিরুদ্ধে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্বব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এমনটি ভবানীপুর থানায় তাঁর নামে অভিযোগও হয়। এবার ফের বিতর্কিত মন্তব্য মদনের।


কামারহাটির বিধায়কের ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন সন্ত্রাস তৈরি করতেই এই হুঁশিয়ারি মদনের। তিনি বলেন, অনেক বয়স হয়ে গেল। এখনও যদি এই ধরনের শিশুসুলভ আচরণ করে তাহলে মানুষ তার সম্পর্কে কী ধারনা করবে। এসব কেউ সিরিয়াসলি নেয় না। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার আসনে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতবে। সেই টার্গেটটা মনোনয়নের ক্ষেত্রে পুরণ করতে পারেনি। সেই জন্যই ভীত সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করছে। 


অন্যদিকে, সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, শুনলান মদন মিত্র কোনও একটা সভায় ফিল্মি ডায়লগ দিয়েছে। উনি কি জানেন যিনি ওই ডায়লগ দিয়েছিলেন তার কি পরিণতি হয়েছিল? সেটা বোধ হয় মদন মিত্র বা তাঁর দলের লোকজন ভুলে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি রুচিহীন, নীতি নৈতিকতাহীন বিবৃতি দেন তাহলে দলের চ্যালারা এর থেকে আর কী ভালো বলবেন?


অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বহু বিজেপি প্রার্থী ঘরছাড়া, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্তা ঠিকই আছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা তার কবে প্রয়োগ হবে। আমাদের যেসব কর্মী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদের হুমিক দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের অনেককে অন্য জায়গায় রাখাতে হচ্ছে। অনেককে বাডি়তে গিয়ে হুমিক দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণণূলে নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ওঁরা বলেন আমাদের সংগঠন শক্ত। আবার বলছেন মনোনয়ন দেওয়ার পর হুমিক দেওয়া হচ্ছে। এদের কথা কান দেওয়া মতো নয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)