Panchayat Election 2023: নওশাদের বাড়িতে সিআইএসএফ টিম, আইএসএফ বিধায়কের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
Panchayat Election 2023: কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, `আমি প্রাণহানির আশঙ্কা আছি। পাইলট কার তো পাওয়ার প্রশ্নই আসছে না। বিধায়ক হিসেবে সম্ভবত ২-৪ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকেন, সেগুলি আমি পাইনি। রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি, নিরাপত্তা পাইনি। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। রবিবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় সিআইএসএফের একটি টিম। কোন পর্যায়ের নিরাপত্তা নওশাদ পেয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এনিয়ে আগামিকাল নওশাদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল বিধায়কের স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকে বহিষ্কৃত দলেরই নেত্রী!
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের সময় থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। আইএসএফ ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে লড়াইয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ভাঙড়ে। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শেষপর্যন্ত তিনি দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে হবে নওশাদকে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার বেলা চারটে নাগাদ নওশাদের ফুরফুরার বাড়িতে এসে হাজির হয় সিআইএসএফের ৭ জনের একটি টিম। ওই সাত জনের মধ্য ৫ জন সশ্স্ত্র জওয়ান।
নওশাদ সিদ্দিকি জানিয়েছেন মোট ৭ জনের একটি টিম এসে আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তবে কোন ক্যাটিগোরির নিরাপত্তা আমাকে দেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এনিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে হয়তো এনিয়ে বিস্তারিত জানতে পারব।
উল্লেখ্য়, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'আমি প্রাণহানির আশঙ্কা আছি। পাইলট কার তো পাওয়ার প্রশ্নই আসছে না। বিধায়ক হিসেবে সম্ভবত ২-৪ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকেন, সেগুলি আমি পাইনি। রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি, নিরাপত্তা পাইনি। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি'। ওই মামলায় বিচারপতি মান্থার তাঁর রায়ে বলেন, রাজ্যে বহু বিধায়ক নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নওশাদ সিদ্দিকির নিরাপত্তার প্রয়োজন। যত শীঘ্র সম্ভব এর ব্য়বস্থা করা হোক।
ভাঙড়ের অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি নওশাদ বলেন, 'ভাঙড়ে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। কিন্তু বাইরে থেকে আরাবুল সাহেবরা, শওকত সাহেবরা, গুন্ডা-মস্তানদের নিয়ে এসে, ভাঙড়কে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বা বিরোধীদের টার্গেট করার চেষ্টা করছে। সেই টার্গেটের মধ্যে তো আমিও আছি। সেজন্যই আতঙ্কে আছি। নমিনেশন পর্ব থেকে আমি বুঝতে পারলাম। এরা যে এতটা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে, আমার জানা ছিল না'।