দেবজ্যোতি কাহালি: মুর্শিদাবাদের পর কোচবিহার। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের দ্বিতীয় দিনে ফের ঝরল রক্ত। এবার তৃণমূল বনাম তৃণমূল। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। যদিও পুলিসের দাবি, কোনও গুলি চলেনি। পবিবার বলছে অন্য কথা। তাদের দাবি মাথায় গুলি লেগেছে ওই তৃণমূল কর্মীর। অন্য আরও একজন আহত। কোচবিহারের দিনহাটার ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নির্বাচনের কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ার! সরব বিরোধীরা


স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি গোষ্ঠী তৃণমূলের নাম নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। আহতদের পরিবারের দাবি, ওই মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরই অন্য গোষ্ঠী এসে হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ওখরাবাড়ি এলাকায় কাউরায় ওই ঘটনা ঘটেছে। আহত তৃণমূল কর্মীকে দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে গেল তাকে কোচবিহার মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিসের দাবি, ওই ব্যক্তির মাথায় লাঠির আঘাত রয়েছে। কোনও গুলি চলেনি।


পরিবারের দাবি, আমাদের কেউ ছিল না। উলামিনের লোকজন এসে গুলি চালিয়েছে, বোমা ফেলেছে। উলামিনকে আমরা চাই না। ওতো বারো মাসেই বাইরে থাকে। বাইরের লোক এসে কি আমাদের জন্য কাজ করবে?


পুলিসের দাবি, গুলি চলেনি। তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। বাজারও লন্ডভন্ড করা হয়েছে। একটি তাজা বোমাও উদ্ধার হয়েছে। এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বে চুপ। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি। এলাকায় পুলিস টহল দিচ্ছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি প্রার্থ প্রতিম রায় বলেন, পারিবারিক গন্ডগোল থেকে বচসা হয়েছে। কোনও গুলি চলেনি। মনোনয়ন কেন্দ্রীক কোনও বিষয় নয়। একেবারেই পারিবারিক ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেস এখনও প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেনি। তাই মনোনয়নের কোনও প্রশ্ন নেই। পুলিস এনিয়ে তদন্ত করছে। ওই এলাকাই সাবাই তৃণমূল করে। তাই কোনও কিছু ঘটলে তা তৃণমূলের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়।


উল্লেখ্য, আজ ডোমকলের পর ভাঙড়েও মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গোলমাল হয়েছে। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে জেলায় জেলায় তৃণমূলের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কেন মনোনয়নের ফর্ম দেওয়া হল এই অভিযোগ তুলে সরকারি অফিসারকের মারধরের অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে এমনই অভিযোগ তুলল আইএসএফ। বিদ্যুত্ ঘোষ নামে ওই সরকারি কর্মীকে নাকে ঘুঁসি মারার অভিযোগ উঠল তৃণণূল নেতা রেজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে। চালতাবেরিয়া অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাইম কাদিরকে ফর্ম দেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মী বিদ্যুত্ ঘোষ। সেইসময় আরাবুল ইসলাম ও সওকত মোল্লার মতো নেতাও উপস্থিতি ছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে। এদের উপস্থিতিতেই ওই সরকারি কর্মীকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। 


কি বলেছেন বিদ্যুত্ ঘোষ? 'ডিসিআর কেটেছিলাম। কেন তা কাটা হয়েছে বলে প্রশ্ন করা হল। এসব বলে আমাকে মারল। আমার চশমাটাও ভেঙে টুকরো করে দিয়েছে।' সাইম কাদির  নমিনেশন ফর্ম নিয়ে চলে আসার পর ওই ঘটনা। মারধরের পরই পুলিস এসে সেই সরকারি অফিসারকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে পুলিসের বচসা হয়। তাকেও বিডিও অফিস থেকে বের করে দেয় পুলিস। 


 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)