Anubrata Mandal: `অনুব্রতকে কষ্ট দিলে বিজেপি কর্মীদের কষ্ট পেতে হবে`, বিস্ফোরক প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক
গদাধর হাজারার ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরা কারা? এদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে রুচিতে বাধে। এগুলো কি রাজনীতির ভাষা? কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তদন্ত করছে, আদালত গ্রেফতারের নির্দেশ দিচ্ছে। চোর পুলিস খেলা হচ্ছে
প্রসেনজিত্ মালাকার: পঞ্চায়েত ভোট হবে কেষ্ট মডেলে। রবিরার এমনই হুমকি দিলেন বীরভূমের নানুরের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতার হুঙ্কার, মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে অনুব্রতকে শেষ করা যাবে না। অনুব্রতকে কষ্ট দিলে জেলার বিজেপি কর্মীদেরও কষ্ট পেতে হবে। রবিবার এমনই হুশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- খুলছে নতুন দরজা, ভারতীয় টাকায় এবার ব্যবসায়িক লেনদেন করা যাবে শ্রীলঙ্কাতে!
রবিবার তৃণমূলের এক কর্মীসভায় জেলার নেতা কাজল সেখ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে পাশে নিয়ে গদাধর হাজরা সাফ জানিয়ে দেন, অনুব্রত মণ্ডলকে যে কষ্ট দেওয়া হবে সেই একই কষ্ট দেওয়া হবে এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।প্রসঙ্গত, বীরভূমে এখন হামেশাই বোমা উদ্ধার হচ্ছে। গত বিধানসভা ভোটের পর একের পর রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। এবার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত। তার আগে গদাধরের এই মন্তব্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
গদাধর হাজরা বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের সৈনিক আমরা। কীভাবে ভোট করতে হয় তা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে শেখা আছে। আাগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচন সেই একই কায়দায় করা হবে। অনুব্রত মণ্ডলের যদি কোনও কষ্ট হয় তাহলে সেই একইভাবে বীরভূম জেলায় যারা বিজেপি সমর্থক-কর্মী রয়েছে তাদের কিন্তু আমাদের কাছে কষ্ট পেতে হবে।
এখন অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রার পর এবার কি জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসার বাতাবরণ ফিরতে চলেছে? এমনটাই আশঙ্কাই করছে রাজনৈতিক মহল।
গদাধর হাজারার ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরা কারা? এদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে রুচিতে বাধে। এগুলো কি রাজনীতির ভাষা? কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তদন্ত করছে, আদালত গ্রেফতারের নির্দেশ দিচ্ছে। চোর পুলিস খেলা হচ্ছে। অনুব্রত যা করেছেন তার ফল পেতে হবে। ওরা আমাদের আড়াইশো কর্মীকে খুন করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে বিজেপি। এই ধরনের মানুষ একসময়ে গণরোষের শিকার হবে।