নিজস্ব প্রতিবেদন :  সরকারি সমস্ত স্কুল ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ঘোষণা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে করোনার জেরে লকডাউনের জন্য ১০ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকার ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন তা বাড়িয়ে ৩০ জুন ঘোষণা করলেন তিনি। আমফানের তাণ্ডব ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিন করে রাখার জন্য-ই স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি পূ্র্ব নির্ধারিত দিনেই হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, "আমফানে কয়েক হাজার স্কুল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোথাও মিড-ডে মিলের জায়গা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোথাও ছাদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরসঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের এখন স্কুলে কোয়ারেন্টিন করে রাখার কাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষা ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।" তবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলো পূর্ব নির্ধারিত ২৯ জুন এবং ২ ও ৬ জুলাই হবে বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। 


যদিও তিনি জানান, "৪২০টি স্কুল যেগুলি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য স্থির করা হয়েছিল, সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৮ জেলায় ৪৬২টি পরীক্ষাকেন্দ্র বদল হয়েছে।" আরও বলেন, "উচ্চমাধ্যমিক যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁদের বই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেগুলি নতুন করে দেওয়া যায় কিনা, সেটা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ৭০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।"


তবে সরকারি স্কুল ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করলেও, বেসরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি শিক্ষামন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "ওদের ব্যাপারে কিছু বলতে পারি না।" যদিও বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, "অযথা মানসিক যন্ত্রণা তৈরি করবেন না।"


কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালগুলি খোলা ও সেখানে পঠনপাঠন কবে শুরু হবে, সেই ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের কাঁধেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার চাপিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী হবে। ছাত্রদের পাশে আছি। কী হবে, ইউনিভার্সিটি নিজে সেটা সিদ্ধান্ত নেবে।"


আরও পড়ুন, স্টেশনে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিক মায়ের দেহ, 'ঘুম' থেকে তুলতে চাদর নিয়ে খেলে যাচ্ছে দুধের শিশু!