নিজস্ব প্রতিবেদন: ইয়াস-এর দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে গোসাবার পাখিরালয়, রাঙাবেলিয়া, পাঠানখালি, দয়াপুরের মতো এলাকা। এখনও বহু জায়গা থেকে জল বের হয়নি। কোথায় হাঁটু সমান, কোথায় কোমর সমান দাঁড়িয়ে নোনা জল। আমপানের পর একই পরিস্থিতি হওয়ায় এলাকার মানুষ এখন চাইছেন শক্তপোক্ত বাঁধ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নিরাপত্তা বাড়ছে Firhad Hakim-র, বাড়ি ও পুরভবনে বাড়তি সুরক্ষা  


শুক্রবার গোসাবায়(Gosaba) ত্রাণ নিয়ে যান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিম মণ্ডল(Pratima Mandal)। ব্লকের আধিকারিকদের নিয়ে আজ এলাকার বিভিন্ন নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন তাঁরা।



এদিন গোসাবা ব্লক অফিসের কাছে এসে কিছুটা ধাক্কা খেলেন সুন্দবন উন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে কিছু মানুষ গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে দাবি করেন, আমরা ত্রাণ চাই না। চাই কংক্রিটের শক্ত বাঁধ। এরকম দাবি কয়েকদিন ধরেই করে চলেছেন এলাকার মানুষ।


আরও পড়ুন-PAC-র চেয়ারম্যান পদে কি বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ি? জল্পনা তুঙ্গে  


উল্লেখ্য, গোসাবা ব্লককে ডুবিয়েছে বিদ্যাধরী, মাতলা-সহ একাধিক নদীর জল। ঝড় যত না ক্ষতি করেছে তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতি করেছে ফুঁসেওঠা নদীর জল। এলাকার অধিকাংশ বাঁধ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেইসব বাঁধ মেরামত শুরুও হয়েছে। কিন্তু বাঁধে দেওয়া হচ্ছে ভিজে কাদামাটি। সেই মাটি ফের জোয়ারের জলে ধুয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না ভাটায় নদীর জল নামে ততক্ষণ শান্তি নেই এলাকার মানুষের। ফলে এলাকার মানুষজন এখন চাইছেন পাকা কংক্রিটের বাঁধ। সেই দাবিতেই আজ মন্ত্রীর সামনে নয় গত কয়েকদিন ধরেই সরকারি, বেসরকারি ত্রাণকর্মীদের সামনে নিজেদের দাবি তুলে ধরছেন এলাকার মানুষজন।
 


এবার ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী গতবারই বলেছিলেন ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগাতে। যেসব জায়গায় তা রোপণ করা হয়েছিল সেখানে ততটা ক্ষতি হয়নি। যেখানে রোপণ করা হয়নি সেখানে বাঁধ ভেঙেছে। এবার অধিকাংশ বাঁধেই ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হবে। পাশাপাশি কংক্রিটের বাঁধও নির্মাণ করা হবে।


 
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)