Sunil Mondal: সেতুর নির্মাণকাজ পরির্দশনে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ, তড়িঘড়ি ছাড়লেন এলাকা
গ্রামে ঢুকতেই সুনীল মণ্ডলকে দেখে ক্ষেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। চোর, চোর বলে স্লোগান দিতে থাকেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাড়া করল অতীত! সেতু তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে গেলেন বর্ধমান পূর্ব-এর সাংসদ সুনীল মণ্ডল(Sunil Mondal)। উঠল 'চোর', 'গো ব্যাক' স্লোগান। বিধানভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তবে তাঁর দাবি, তৃণমূলেই রয়েছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে কাটোয়া(Katwa) ২ নম্বর ব্লকের গাজিপুর পঞ্চায়েতের মালঞ্চা গ্রামে এটি নির্মীয়মান সেতুর কাজ দেখতে গিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল। তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থেই গ্রামের কাছে ব্রাহ্মণী নদীর উপরে তৈরি হচ্ছে ৮০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু। ২০১৯ সালে সেতুটির শিলান্য়াস করা হয়েছিল। কয়েক বছর এটির কাজ আটকে থাকার পর নভেম্বর মাস থেকে ফের শুরু হয়েছে নির্মাণ কাজ।
আজ গ্রামে ঢুকতেই সুনীল মণ্ডলকে দেখে ক্ষেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। চোর, চোর বলে স্লোগান দিতে থাকেন। স্থানীয় মানুষজনের দাবি সাংসদকে দেখে, বিজেপির দালাল, গো ব্যাক স্লোগানও ওঠে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় যে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়েন সাংসদ।
আরও পড়ুন-ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ করে গুলি, অভিযোগের তির বিজেপির বিরুদ্ধে
বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে সুনীল মণ্ডল ফোনে জানান, বিক্ষোভ নয়, কয়েকজন মাতাল ওই কাণ্ড করেছে। দলের জেলা সভাপতিকে পুরো ঘটনাটি জানাব।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান(Purba Bardhaman) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভের কথা আপনার কাছে শুনলাম। দলের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুনীল মণ্ডল। সেই সময়েও তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ের কাছে। তবে সুনীলবাবুর দাবি, গত আট মাস দলের সঙ্গে কাজ করছি। নেতৃত্ব গোটা বিষয়টি জানে।