Ganga Errosion| Ratua: রতুয়ায় উঠোনে হাজির ভয়ংকর গঙ্গা, গিলে খাচ্ছে একের পর এক বাড়িঘর
Ganga Errosion| Ratua: মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে মহানন্দটোলার গঙ্গা। যে দুটি গ্রামে এখন ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার কথা আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক
রণজয় সিংহ: বর্ষা আসতেই মালদহে ফিরল ভাঙ্গনের বিভিষীকা। অনেক দূরে থাকা গঙ্গা চলে এসেছে একেবারে উঠোনে। আর তার প্রবল জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ছে একের পর এক বাড়িঘর। গ্রামে চারদিকে পড়ে ধ্বংসস্তূপ। দিশেহার মালদহের রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দাটোলার মানুষজন। গতকাল থেকে ধ্বংসলীলা শুরু করেছে গঙ্গা।
আরও পড়ুন-কোটি কোটি টাকা তছরূপ! লক্ষ্মণের বাড়িতে ইডির হানা
গত কাল ঘণ্টা দুয়েকের ভাঙ্গনে ঘরভিটে হারিয়েছেন বহু মানুষ। কান্থুটোলা ও শ্রীকান্তিটোলা গ্রামের প্রায় ২ হাজারের বেশি পরিবার এখন গৃহহীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন রতুয়া বিধানসভার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। প্রশাসনের তরফে গৃহহীনদের জন্য কোনও ব্যবস্থা এখনও করা হয়নি। গতকাল সারারাত সহায়সম্বলহীন, অভূক্ত অবস্থায় খোলা আকাশের নীচে কাটিয়েছেন দুটি গ্রামের মানুষজন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে মহানন্দটোলার গঙ্গা। যে দুটি গ্রামে এখন ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার কথা আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক। কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। গতকাল রাত থেকেই না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন দুই গ্রামে মানুষ। আতঙ্কে থেকেছেন কখন এসে পড়বে গঙ্গা। কেন্দ্রীয় সরকার এলাকাটিকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। তার পরেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? ক্ষোভ সাধারণ মানুষের।
গত ৯ অগাস্ট স্থানীয় বিধায়ক সময় মুখোপাধ্যায়ের কাছে তাদের বাঁচানোর আর্তি জানান। তিনি আবার এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মুর দিকে আঙুল তোলেন। তাঁর দাবি, খগেনবাবু গঙ্গার পাড়া বাঁধব বলেও বাঁধেননি। অন্যদিকে, খগেন মুর্মুর দাবি, বিষয়টি তিনি কেন্দ্রকে জানিয়েছেন। তারা বলছে, রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করে কেন্দ্রের কাছে পাঠালে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।