মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত সামলে এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ তথা এ রাজ্য়। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেনের জন্য আর্তনাদ এখন নেই বললেই চলে। কার্যত উধাও করোনায় মৃত রোগীর পরিজনদের স্বজন হারানো আর্তনাদ। যে কোভিড বেড পেতে মাস কয়েক আগেও হাজার হাজার টাকা গুণতে হত, এখন রোগীর অভাবে ফাঁকা পড়ে রয়েছে সেই বেড। বিষয়টা নিঃসন্দেহে স্বস্তির এবং সুখকর। তবে একটা অন্য দিকও রয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে গেল একটি কোভিড ওষুধের ট্রায়াল। রোগীর অভাবে ট্রায়াল বন্ধ করতে বাধ্য হল সংস্থা।


উত্তর ২৪ পরগনার সাগরদত্ত হাসপাতালে করোনার মৃদু-উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের উপর ফাইজারের (pfizer) ওষুধ রিটোনাভির (Ritonavir)  ওরাল ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রায়াল চালানোর মতো পর্যাপ্ত রোগী কোথায়? এতদিন যে রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হত চিকিৎসকদের, এবার সেই রোগীর অভাবেই বন্ধ হয়ে গেল ওষুধের ট্রায়াল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রোগীর সংখ্যা এতটাই কম যে, শেষ মুহূর্তে ট্রায়াল বন্ধ করতে বাধ্য হল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাহায্য়কারী সংস্থা। শহরে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাহায্যাকারী সংস্থা ক্লিনিমেড জানাচ্ছে, রোগী কমে যাওয়ার কারণে আরও বেশকিছু হাসপাতালেও ট্রায়ালের গতি মন্থর হয়েছে। ট্রায়াল ফেসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার জানান, রুবি হাসপাতালেও একটি ওষুধ ট্রায়ালের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তবে সেখানেও পর্যপ্ত মাত্রায় রোগী মিলবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।    


আরও পড়ুন: গ্রামসেবা গাঁওপুজোয় মাতলেন চা-বাগানের আদিবাসীরা


আরও পড়ুন: দিঘায় ভিড় জমতে শুরু করেছে পর্যটকদের, হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে


করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়া, দেশ ও রাজ্যের কাছে নিঃসন্দেহে একটি সু-খবর। তবে এর একটি অন্য দিকও রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, নতুন ওষুধের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে, তা পরবর্তী সময়ে বিপজ্জনক হতে পারে। রাজ্যে নিম্নগামী করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৯৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। রাজ্যে বর্তমানে পজিটিভিটি রেট ২.৪৮ শতাংশ।