নিজস্ব প্রতিবেদন: বামেদের নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়ে চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের পিয়াশিস ভট্টাচার্য। দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন তো?  আশঙ্কায় পরিবারের লোকেরা। ওই বাম যুবকর্মীর অভিযোগ, পুলিসমন্ত্রীর নির্দেশে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লাঠি চালিয়েছে পুলিস। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্ন অভিযানের দিন ঠিক কী ঘটেছিল? DYFI কর্মী পিয়াশিস ভট্টাচার্য Zee ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন,  'আমরা কলেজ স্ট্রিট থেকে নবান্নের দিকে চলে যাচ্ছিলাম। লক্ষ্য করি, রাস্তার দু'ধারে গলিগুলিতে মাটি খুঁড়ে স্টিলে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিস। সামনেও বড় ব্যারিকেড ও প্রচুর পুলিসকর্মী। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আগাম সতর্কতা ছাড়াই প্রথমে জলকামান ছোঁড়া হয়। এরপর টিয়ার গ্যাস চালানো শুরু হয়। এক মহিলা সহকর্মীকে রাস্তা থেকে তোলার সময়ে বুঝতে পারি, পুলিস পিঠে লাঠি চালাচ্ছে। এরপর বাঁশ দিয়ে সরাসরি আঘাত করা হয় চোখে'। এই ঘটনার পর পিয়াশিসকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ  ও হাসপাতাসে। সেখানে তাঁর চোখের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। জিয়াগঞ্জের বাড়িতে রয়েছেন পিয়াশিস। কিন্তু চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি এখনও। 


আরও পড়ুন: কর্তব্যরত পুলিস কর্মীকে বেধড়ক মারধর বাম ছাত্র-যুবদের, প্রাণ বাঁচালেন কোনওক্রমে


DYFI কর্মী পিয়াশিস ভট্টাচার্যের অভিযোগ, 'আমরা তো চাকরি চাইতে গিয়েছিলাম। পুলিসমন্ত্রীর নির্দেশে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লাঠি চালিয়েছে পুলিস। আমার অনেক কমরেড বন্ধুকে লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছে। এমনকী, যেসব বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, সেইসব বাড়ি লক্ষ্য করে পুলিস টিয়ার গ্যাস চালিয়েছে'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী পুলিসের এই বর্বরোচিত আক্রমণ যুদ্ধাপরাধের থেকে কোন অংশে  কম নয়। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়ার দরকার'।