নিজস্ব প্রতিবেদন: জার্সি বদলের প্রস্তুতি কি শুরু করে দিয়েছেন ঋতব্রত ব্যানার্জি? রাজ্য রাজনীতিতে কান পাতলে কিন্তু শোনা যাচ্ছে এমনই গুঞ্জন। সমালোচকরা বলছেন, গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে না পেরে 'তরমুজ' হওয়ার দিকে ঝোঁক বাড়ছে বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অগ্নিশর্মা অনুব্রত! পুলিসকে ধমকে-চমকে আবারও শিরোনামে কেষ্ট


রাজনৈতিক উত্থানে লাল ঝাণ্ডাই ঋতব্রতকে দিয়েছে চূড়ান্ত স্বীকৃতি। বামপন্থাকে 'পুঁজি' করেই 'জয় বাংলা'র গান গাইছেন ঋতবত ব্যানার্জি। সেক্ষেত্রে আদর্শগতভাবে বাম থেকে ডানে পা বাড়াতেই ডেরেক ও'ব্রায়েনের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ বাড়ছে তাঁর। ঘনিষ্ঠ মহলে অবশ্য ঋত বরাবরই বলে এসেছেন, সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির নানান কার্যকলাপে যুক্ত থাকার কারণেই তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেড়েছে। একদা তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল তাঁর। মুকুল রায়ের জার্সি বদলের পর ঋত যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা সংস্কৃতি, পরিবহণ এবং ভ্রমণ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডেরেক ও'ব্রায়েনের সঙ্গে। পাশাপাশি, গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানাতেও দু'বার ভাবছেন না ঋতব্রত। আর টেকস্যাভি ঋতর এইসব কর্মকাণ্ডই প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর টুইট্যার হ্যান্ডলের মাধ্যমে।  


 



তবে সমালোচকদের একহাত নিতে ঋত বেছেছেন অন্য পন্থা। আজ, তাঁর জন্মদিনে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত এই সাংসদ একসুরে বিঁধছেন লাল এবং গেরুয়া শিবিরকে। ঋত'র টুইট, "আমাকে আঘাত করার জন্যই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে জড়িয়ে অনেক গুজব রটানো হচ্ছে। আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুজব রটেছে"। একই টুইটে প্রাক্তন দলকে বিঁধে ঋত লেখেন, "লাল-গেরুয়া গুজবে কান দেবেন না"। এদিন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হন বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদ। ঋতব্রত টুইটে লেখেন, "সংসদ সবসময়ই বিতর্ক এবং মত আদান প্রদানের কেন্দ্র। সেখানে রাজ্য নির্বাচনকে উপেক্ষা করেই সংসদ চলা উচিত।" সরকার বিরোধীদের মুখোমুখি হতে চাইছে না, বলেও প্রশ্ন তোলেন ঋতব্রত।