নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠাকুরনগরের সভায় খোঁচা দিয়েছিলেন, 'সিন্ডিকেট ট্যাক্স'। তার ঘণ্টাখানেক বাদে দুর্গাপুরের সভায় তৃণমূলকে বিঁধলেন 'তোলাবাজি ট্যাক্স'-এ। এভাবেই শনিবার বাংলা সফরে এসে লোকসভার ঢাকে কাঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সুর অবশ্য আগেই বেঁধে গিয়েছিলেন মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে নোটিসও পাঠিয়েছিল তৃণমূল। তবে এদিন মোদী স্পষ্ট করে দিলেন, রাজ্যে লড়াইয়ের ময়দান থেকে এক পা-ও পিছোবেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্গাপুরেরর সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরাজ্যে শিশুরাও জানে 'ট্রিপল টি ট্যাক্স' মানে তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স। কলেজে ভর্তি, শিক্ষকদের বদলির জন্য এখানে টাকা লাগে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক স্কুলে শিক্ষক নেই। কারণ, তাঁরা আদালতে চক্কর কাটছেন''। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ''এতদিন জগাই-মাধাই-সিন্ডিকেট সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ ছিল না। এবার বিজেপি এসে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি''। 


রাজ্যে বিজেপিকে মমতা ভয় পাচ্ছেন বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''বিজেপির সভাপতি আসাতেই মাটি সরে গিয়েছিল। হেলিকপ্টার থেকে নামতে দিচ্ছেন না। যাত্রায় বাধা দিলেন''। 



প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, দিদির খেল আর কতদিন চলবে! আমাদের লড়াই জারি থাকবে। আপনাদের জন্য লড়াই করছি। পশ্চিমবঙ্গে জগাই-মাধাই ও সিন্ডিকেট রাজ থেকে মুক্তি দিতে বাংলার মানুষের পাশে আছি। আপনাদের ভরসাই আমাকে দিনরাত কাজ করতে উদ্বুব্ধ করছে।  


১৯ জানুায়ারি ব্রিগেডে বিরোধীদের সভার প্রসঙ্গও এসেছে মোদীর ভাষণে। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, কলকাতার ছবি দেখেছেন, সবার চোখেমুখে ভয়। চারবছর আগে একে অপরের মুখদর্শন করতেন না। একে অপরকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিতেন, তাঁরাই এখন জড়িয়ে ধরছেন। চিটফান্ড, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যাঁরা দুর্নীতি করতেন, চৌকিদারকে তাঁরাই পছন্দ করেন না। 


আরও পড়ুন-দুর্গাপুরে তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজালেন মোদী, নমোর চোখা চোখা ২৫টি মন্তব্য এক নজরে


দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না বলেও মনে করিয়ে দেন মোদী। বলেন,''দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত পরিবারও বিশ্বাসঘাতকতা করে পার পাবে না। ইউপিএ জমানায় যারা প্রতিরক্ষা লেনদেনে দালালি করে বিদেশ পালিয়ে গিয়েছিল তাদেরও ভারতে এনে হিসাব চাইছি। সবার কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসবে''।