দুর্গাপুরে তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজালেন মোদী, নমোর চোখা চোখা ২৫টি মন্তব্য এক নজরে

ঠাকুরনগরের পর দুর্গাপুরে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। ওই সভায় তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন মোদী। একইসঙ্গে বাজেটে সুফলও তুলে ধরেন।    

Feb 02, 2019, 16:36 PM IST

ঠাকুরনগরের পর দুর্গাপুরে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। ওই সভায় তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন মোদী। একইসঙ্গে বাজেটে সুফলও তুলে ধরেন।    

1/25

ঠাকুরনগরে দ্বিগুণ লোক চলে এসেছিলেন। ওখানে যে সমস্যা হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের উত্সাহ ও ভালবাসাই আমার শক্তি। কিন্তু ভালবাসার সঙ্গে ধৈর্য্য থাকাও দরকার। এত বড় ময়দান। তাও দেখছি ছোট লাগছে। চারদিকে লোকই লোক দেখছি। 

2/25

ধৈর্য্য এখানে জরুরি কারণ যে ধরনের ব্যবহার করছে তৃণমূল সরকার, আপনাদের সমস্যা হাওয়া স্বাভাবিক। গতকাল রাতে যা হয়েছে তার খবর পেয়েছি। নাকে চোট নিয়েও এক কর্মী সাহস নিয়ে এখানে হাজির হয়ে গিয়েছেন। আপনাদের এই তপস্যা, বলিদান নষ্ট হবে না।

3/25

দিদিকে সরাতে সময় লাগবে। প্রদীপ নেভার আগে একটু বেশি জ্বলে ওঠে। দিল্লিতে বসে ভাবছিলাম, দিদি নিজেই সিপিএমের নির্যাতন সহ্য করেছেন। উনি সেই রাস্তায় যাবেন না। কিন্তু, উনিও একই রাস্তায় হাঁটলেন। এমনটা কেন হচ্ছে! 

4/25

বুঝতে পারলাম এটা আপনাদের ভালবাসা। যা ওনার ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরছেন। তবে বাংলার মেজাজকে বদলাতে পারবে না। গণতন্ত্রের মর্যাদা দিতে জানে না। হিংসা ছড়াচ্ছে। এদের বিদায় নিশ্চিত। বাংলা পরিবর্তন করেই ছাড়ব। পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি।

5/25

বাংলার পবিত্র মাটি অনাচার বেশিদিন বরদাস্ত করবে না। মা-মাটি-মানুষের নামে সরকার তৈরির পর বেছে বেছে বিরোধীদের সরিয়ে দিচ্ছে।

6/25

ভারতীয় ঐতিহ্যে মেনে চলে বিজেপিতে। বিজেপির প্রতিটি কর্মী স্বামীজির মন্ত্রে আস্থা রাখেন। জনসঙ্ঘ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই মাটির রত্ন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের স্বপ্নই আদর্শ বিজেপির।   

7/25

পূর্ব ভারতের উন্নতি চায় কেন্দ্র। কিছুক্ষণ আগে রেলপ্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। দুর্ভাগ্য এখানকার সরকার উন্নয়ন প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।   

8/25

পশ্চিমবাংলায় পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরুই হচ্ছে না। আর শুরু হলেও মৃতপ্রায়। সড়ক, রেল, জলপরিবহণ, বিদ্যুত্, স্বাস্থ্যের মতো বিষয়ের সঙ্গে জড়িত প্রকল্পগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার। 

9/25

যেখানে সিন্ডিকেটের ভাগ নেই, সেই প্রকল্পে হাত দেয় না তৃণমূল। উন্নয়নবিরোধী সরকার থাকলে উন্নয়ন গতি পাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের স্বপ্নকে নতুন উড়ান দেওয়ার কাজ চলছে। দুর্গাপুর থেকে দেশের মধ্যবিত্তদের, যুবকদের দারুণ বাজেটের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

10/25

সবকা সাথ সবকা সাথ বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে বাজেট। শ্রমিক, কৃষক সকলের জন্যই কিছু না কিছু রয়েছে। আমাদের মধ্যবিত্ত দাবি করে আসছিলেন, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর মুক্ত করা হোক। এতবছর পর সেই দাবি পূরণ করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। বাজেটে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা আয়ের ব্যক্তিকে আর কর দিতে হবে না।

11/25

এটা অন্তর্বর্তী বাজেট ছিল, নির্বাচনের পর সাধারণ বাজেট নিয়ে আসব তাতে থাকবে নতুন ভারতের দিশা। আগে দুটো ঘর কিনলে কর দিতে হত। এবার সরকার ঠিক করেছে, আর কর দিতে হবে না। ভাড়া থেকে আয়ের উপরে করের সীমা ১ লক্ষ ৮০ থেকে বাড়িয়ে ২.৪০ লক্ষ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের আমানতের উপরে ১০ হাজার টাকার পর্যন্ত সুদের উপরে করছাড় মিলত। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০,০০০ টাকা।

12/25

এটা সাড়ে চার বছর ধরে চলে আসা সরকারের চেষ্টার ফল। আগে সরকারের জমানায় ১০ শতাংশে ঠেকেছিল মূল্যবৃদ্ধি। এবার তা ৪ শতাংশের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। আগে হাজার টাকার মাসে মোবাইল ও ইন্টারনেটের বিল আসত। এখন তা ১০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। এলইডি বাল্ব ব্যবহারের জেরে ৫০ হাজার টাকা কমে গিয়েছে। ওষুধের দাম কমায় হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।   

13/25

কৃষকদের স্বার্থে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এত বড় প্রকল্প কোনও সরকার আনেনি। প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান বিধি যোজনা। দেশের ১২ কোটি কৃষক প্রতি বছর ৬ হাজার টাকা পাবেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। একবছরে ৭৫,০০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকার প্রস্তুতি নিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রথম কিস্তির টাকা জমা পড়ে যাবে।

14/25

আমরাও পারি বলে অনেকেই দাবি করছেন। কিন্তু, আমাদের নীতি স্পষ্ট, যে কারণে কৃষক হিতে স্থায়ী সমাধান এনেছি। ওরা কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ১০ বছরে একবার। আমরা প্রতিবছর দেব। ওরা ঋণ মাফ করলে ছোট কৃষকের ১০-১৫ টাকা ঋণ মাফ হয়েছে। অন্য দিকে এমন লোকেদের লাখ টাকার ঋণ মাফ হয়, যাঁরা কৃষকই নন।  

15/25

কৃষকদের সঙ্গে শ্রমিকদের কথাও মাথায় রেখেছে সরকার। ১৫ হাজার টাকার কম মাইনের শ্রমিকরা পাবেন ৩০০০টাকা পেনশন। এজন্য ৫০ থেকে ২০০ টাকা মাসে দিতে হবে প্রতি মাসে। সম অর্থ দেবে সরকার।

16/25

সবকা সাথ সবকা বিকাশ সংকল্প নিয়েছি। অটল পেনশন যোজনা চালাচ্ছি। এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন সুনিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা যোজনায় ২ লক্ষ টাকার বিমা এনেছি। ১ টাকা প্রতি মাসের প্রিমিয়াম নেওয়া হচ্ছে। ২১ কোটি মানুষ যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ পশ্চিমবঙ্গের। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। সিন্ডিকেটকে ভয় পাবেন। 

17/25

পশ্চিমবঙ্গে গরিবদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সুবিধা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বিহার ও ছত্তীসগঢ়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লাভবান পশ্চিমবঙ্গ। অথচ বিনামূল্যের চিকিত্সা গরিবদের দিতে চায় না রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের গরিববিরোধী সরকার হাত তুলে নিয়েছে। অসংবেদনশীল ও নির্দয় এই সরকার। নিজেদের স্বার্থে গরিবদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।

18/25

কেন এমনটা করেছেন? আমাকে অনেকে বলছেন, সুস্থ হওয়ার পর গরিবদের মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে, মোদীর প্রকল্পের জন্য জীবন বেঁচে গিয়েছে। বাংলার গরিবদের মুখ থেকে মোদীর নাম বেরাতেই দিদির ঘুম উড়ে গিয়েছে। দিদির মনে হল, আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় সব অসুস্থ সুস্থ হয়ে গেলে লোকে মোদী, মোদী বলবে তো দিদির কী হবে! এই মোদীনাম শোনার কারণে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষাধিক গরিবকে এত বড় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে দিয়েছেন দিদি। এমন নির্দয়ী সরকার এক সেকেন্ডও রাখা উচিত নয়। 

19/25

এরাজ্যে শিশুরাও জানে 'ট্রিপল টি ট্যাক্স'- তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স। কলেজে ভর্তি, শিক্ষকদের বদলির জন্য টাকা লাগে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক স্কুলে শিক্ষক নেই। কারণ, তাঁরা আদালতে চক্কর লাগাচ্ছেন।

20/25

এতদিন জগাই-মাধাই-সিন্ডিকেট সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ ছিল না। এবার বিজেপি এসে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। 

21/25

দেশের সবচেয়ে নামী পরিবারও বিশ্বাসঘাতকতা করে পার পাবে না। ইউপিএ জমানায় যারা প্রতিরক্ষা দালালি করে বিদেশ পালিয়ে গিয়েছিল। এমন লোকেদের ভারত এনে হিসাব নেওয়া হচ্ছে। সবার কুকীর্তি সামনে আসবে। 

22/25

কলকাতার ছবি দেখেছি। সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছে। চারবছর আগে একে অপরের মুখদর্শন করতে চাইতেন না। যাঁরা একে অপরকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিতেন, তাঁরাই এখন জড়িয়ে ধরছেন। চিটফান্ড, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যাঁরা দুর্নীতি করতেন, তাঁদের অপছন্দ চৌকিদারকে।  

23/25

কেন্দ্রীয় সরকার রিয়েল এস্টেট আইন এনেছে। কিন্তু তা এখানে লাগু হয়নি। এই আইনে আর বেশিদিন ফ্ল্যাটের দাম নিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন না প্রোমোটাররা। এখানে তা হচ্ছে না কারণ ওই লবি রয়েছে। সারদা, চিটফান্ড বা পেন্টিং হোক- সব একটাই দরজায় যাচ্ছে না। 

24/25

আমাকে এত গালাগালি দিচ্ছেন। গুজরাটে ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করত সিবিআই। ওই সময়ে ইউপিএ সরকার সিবিআই ব্যবহার করা হত। তা সত্ত্বেও আমরা কখনও গুজরাট থেকে সিবিআইকে বেরিয়ে যেতে বলেনি। বলেছিলাম, আরও আনুন। আমি সত্। ওরা ভয় পেয়েছে। 

25/25

বিজেপির সভাপতি আসাতেই মাটি সরে গিয়েছিল। হেলিকপ্টার থেকে নামতে দিচ্ছেন না। যাত্রায় বাধা দিলেন। দিদির খেল আর কতদিন চলবে। আমাদের লড়াই জারি থাকবে। আপনাদের জন্য লড়াই করছি। পশ্চিমবঙ্গ জগাই মাধাই ও সিন্ডিকেট রাজ থেকে মুক্তি দিতে বাংলার মানুষের পাশে আছি। আপনাদের এই বিশ্বাস আমাকে দিনরাত কাজ করতে উদ্বুব্ধ করছে।