ঠাকুরনগরে `মা-বোনেদের অসুবিধা`, ক্ষমা চাইলেন মোদী, ফোন করে খোঁজ অমিতের
`অমিত শাহজি ফোন করেছিল, জানতে চান কী হয়েছে?`
নিজস্ব প্রতিবেদন : ঠাকুরনগরে সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের আমন্ত্রণে এদিন জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু মোদীর সেই সভায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ভিড়ে, হুড়োহুড়িতে আহত হন কয়েকজন। আহতদের মধ্যে মহিলাও রয়েছেন। ঠাকুরনগরের সভায় বিশৃঙ্খলার জেরে মহিলা ও শিশুদের অসুবিধার জন্য দুর্গাপুরের সভা মঞ্চ থেকে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগবে না: মোদী
ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভা চলাতালীন-ই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সভা চলাকালীন উপস্থিত জনতাকে শান্ত থাকতে বলেন মোদী। ভিড়কে সংযত থাকতে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যের মাঝখানেই চেয়ার ছোঁড়া শুরু হয়। পেছনের ভিড় সামনে ঠেলা দেয়। হাই সিকিউরিটি জোনের মধ্যে ঢুকে পড়ে মানুষ। পুলিশ ভিড় সামলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন,"বড়মার সঙ্গে দেখা করে গর্ব অনুভব করছি", প্রণাম জানিয়ে বাংলায় বললেন মোদী
এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, "রাজ্য পুলিশ কিছু দেখেনি। এটা ওদের জন্য হয়েছে। আমরা ব্যাপারটা দেখছি।" তিনি আরও জানান, ঠাকুরনগরের সভায় বিশৃঙ্খলার খবর শুনে দেরাদুন থেকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বলেন, "অমিত শাহজি ফোন করেছিল, জানতে চান কী হয়েছে?"
আরও পড়ুন, ঠাকুরনগরে মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলার চূড়ান্ত, ১৪ মিনিটে ভাষণ শেষ প্রধানমন্ত্রীর
এই পুরো ঘটনার জন্য পুলিসি নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ি করেন প্রতাপ ব্যানার্জি। আঙুল তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেও। বলেন, "তৃণমূল চাইছিল না ও থাকতে পারে। রাজ্য পুলিশ যতটা তত্পর হওয়ার উচিত ছিল, তা হয়নি।" এরপরই দুর্গাপুরে জনসভায় যোগ দিয়ে ঠাকুরনগরের সভায় বিশৃঙ্খলার কথা তোলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। বলেন, "ঠাকুরনগরে ভিড়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। মা-বোনেদের অসুবিধা হয়েছে। তার জন্য ক্ষমা চাইছি।"