বিডিও-কে মারধরে অভিযুক্ত সিদ্দিক মোল্লা ও সাফসার আলি অধরা, নীরব পুলিস
বিডিও-র দাবি, আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। আর সে জন্যই তাঁর ওপর হামলা চলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালিতে বিডিওকে মারধরের ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি এখনও অধরা। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বেলাগাম তাণ্ডব। তছনছ অফিস। সঙ্গে বিডিও সহ অন্য কর্মীদের মারধর। বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির বিডিও অফিস। বিডিওর অভিযোগ, তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা এবং দিলীপ মল্লিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সাফসার আলি মোল্লার বিরুদ্ধে।
কিন্তু কী কারণে হামলা? বিডিও-র দাবি, আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। আর সে জন্যই তাঁর ওপর হামলা চলে। শনিবার পাকড়াও করা হল তিনজনকে। গ্রেফতার হন সইফুল মোল্লা, মনিরুল নস্কর ও আলকেশ মোল্লা নামে তিনজন। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। পুলিস অবশ্য এ নিয়ে স্পিকটি নট।
সন্দেশখালি ২ বিডিও দফতরে ২নম্বর বেড়মুজুর প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা ও তাঁর সঙ্গীরা হামলা চালান। বিডিও কৌশিক ভট্টাচার্যকে গান পয়েন্টে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিডিও ছাড়াও তাঁর দেহরক্ষীদেরও মারধর করা হয়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সিসি ক্যামেরা হার্ডডিস্ক কেড়ে নেন হামলাকারীরা।বিডিও কৌশিক ভট্টাচার্য-সহ দুজনকে ভর্তি করা হয় বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। এই পরিস্থিতি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বিডিও অফিসের কর্মীরা। কৌশিক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন,কিছু দিন ধরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া হলেও সেই টাকার ঘর পাননি গরিব মানুষ। তার প্রতিবাদ করায় হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন- রেশনে ২টাকা কিলো চালে দুর্নীতি রোধে চাপ মোদীর, তড়িঘড়ি পদক্ষেপ রাজ্যের