দেবব্রত ঘোষ: একমাত্র মেয়ে বিবাহিত। বর্তমানে তিনি রয়েছেন হায়দরাবাদে। এদিকে হাওড়ার জগাছার বাড়িতে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিস এসে দেখল স্ত্রীর মৃতদেহ আগেল বসে রয়েছেন স্বামী। পচা গন্ধ পেয়ে পুলিসে খবর দিলেন বাড়িতে আসা স্বাস্থ্যকর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'ভালোবাসা দিবসের জন্য নতুন পরিকল্পনা করতে হবে', মোদী সরকাকে মহুয়া মৈত্রের কটাক্ষ


শনিবার সকালে হাওড়ার জগাছা থানার নন্দীপাড়া এলাকায় তপতী চক্রবর্তী(৭৫) নামে ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিস। এদিন মৃত বৃদ্ধার স্বামী তুষার চক্রবর্তীর বাড়িতে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। দরজায় নক করতে গিয়ে তারা দুর্গন্ধ পান। ভেতর থেকে কোনও সাড়া তারা পাননি। সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিসে ফোন করেন। জগাছা থানা থেকে পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেখে ঘরে বসে রয়েছেন তুষারবাবু। মেঝেয় পড়ে রয়েছে তাঁর স্ত্রী তপতী দেবীর(৬৭) পচাগলা দেহ।


স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে দু'জনেই অসুস্থ ছিলেন। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীনও ছিলেন তুষার চক্রবর্তী। সেই জন্যই তিনি কাউকে কিছু বলেননি কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি এখনও বোঝা যাচ্ছে না ঠিক কবে মারা গিয়েছেন তপতী দেবী।  


তুষার চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী এলাকাই বাড়িতে থাকতেন। একমাত্র মেয়ে থাকেন হায়দরাবাদে। তাঁর আত্মীয়রা পাশাপাশি এলাকাতেই থাকতেন। তারা তুষারবাবু ও তাঁর স্ত্রীর খোঁজ খবর কেন রাখতেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তুষারবাবুর ভাই নীহার চক্রবর্তী জানালেন, কিছুদিন আগেই তিনি তুষারবাবুর ঘরে এসেছিলেন। দরজা নকও করেছিলেন। কেউ না খোলায় তিনি চলে যান। বিভিন্ন কাজকর্মে জড়িয়ে থাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে তিনি পারেননি। এখন প্রশ্ন পাড়া প্রতিবেশীরাও কিছু টের পেলেন না! তারা কি কোনও যোগাযোগই তুষারবাবুর সঙ্গে রাখতেন না! পুলিস এসে তপতীদবীর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। পাশাপাশি তুষারবাবুকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)