নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ত্রী-মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে প্রায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন স্বামী। টিটাগড় থানা থেকে শুরু ভবানীভবন, অ্যাপ ক্যাব কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ-হন্যে হয়ে স্ত্রী-মেয়েকে খুঁজছিলেন তিনি। প্রথমে সন্দেহের তির ছিল ক্যাব চালকের দিকেই। পুলিসও সেই সূত্র ধরেই শুরু করেছিল তদন্ত। কিন্তু গোটা বিষয়টিও ঘুরে গেল তিনশো ষাট ডিগ্রি। টিটাগড়ের মা-মেয়ের অন্তর্ধান রহস্য নিল চাঞ্চল্যকর মোড়। জানা গেল, মেয়ে তানিশাকে নিয়ে বিহারের ছাপড়ায় প্রেমিকের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন মা সুমন সনতার। কিন্তু যখনই থানা-পুলিসের খবর দেখেন টিভিতে, তখন সেখান থেকে পালিয়ে দমদমের নাগেরবাজারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন তাঁরা। পুলিস সেখান থেকেই তাঁদের উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে, সুমনের প্রেমিক মৃগাঙ্ক মৃণাল ও সুমনকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: অ্যাপে ক্যাব বুক করে টিটাগড় থেকে উঠেছিলেন মা ও মেয়ে, তারপর যা ঘটল...


প্রসঙ্গত, ২৪ জুন, গত রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ মেয়ে তানিশাকে নিয়ে গিরিডিতে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে বেরোন  সুমন সনতার। টিটাগড় থেকে তাঁরা প্রথমে অ্যাপ ক্যাবে কলকাতা স্টেশন যান। পরিবার দাবি, সেদিন রাত ৮টা ২০ মিনিটের ট্রেন ধরেন সুমন ও তাঁর মেয়ে। ট্রেনে ওঠে ফোন করে বাড়িতে সে খবর তাঁরা জানিয়েছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। ২৫ জুন ভোর ৪টে নাগাদ গিরিডি পৌঁছাবার কথা ছিল তাঁদের। অভিযোগ, সেদিন তাঁরা স্টেশনে নামেননি। স্ত্রী ও মেয়েকে না খুঁজে পেয়ে সরাসরি টিটাগড়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান সুমনের স্বামী রাজেশ সনকার।


আরও পড়ুন: মামীর সঙ্গে এক বিছানায় স্বামী, এরপর  স্ত্রী যা করলেন, তার ফল মিলল বৃহ্স্পতিবার দুপুর দেড়টায়


টিটাগড় থানায় সুমনের পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ জানানো হয় ভবানীভবনেও। তানিশা যে নম্বর থেকে শেষবার ফোন করেছিল, সেটি ট্রাক করে দেখা যায় সেদিন সেই মুহূর্তে কলকাতা স্টেশনের আশেপাশেই ছিলেন তাঁরা। তারপর থেকেই তাঁদের তিনটি ফোন সুইচ অফ ছিল।  


আরও পড়ুন: ফোনে থাকা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ছবি নিয়ে বিপদে পড়ল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী


পুলিস তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার দমদমের নাগেরবাজার থেকে সুমন ও তাঁর মেয়ের তানিশাকে উদ্ধার করে পুলিস। জেরায় সুমন জানান, পারিবারিক অশান্তিতে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই টিটাগড়ের বাপেরবাড়ি থেকে গিরিডিতে ফিরতে চাননি। মেয়েকে নিয়ে সোজা চলে গিয়েছিলেন বিহারে। ছাপড়ার মৃগাঙ্ক মৃণাল নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেম রয়েছে। তাঁর কাছে গিয়েই আশ্রয় নেন সুমন-তানিশা। কিন্তু ইতিমধ্যে টিভিতে এত কিছু খবর চাউর হয়ে যাওয়ায় ছাপড়া থেকে সোজা দমদমের নাগেরবাজারে চলে আসেন তিনি। সেখানে এক আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।