নিজস্ব প্রতিবেদন : আসানসোলে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রী মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে আটকে দিল প্রশাসন। এদিকে পুলিসের কাছ থেকে বাধা পাওয়ার পরই, সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন বাবুল। স্পষ্ট অভিযোগ করলেন, আসানসোলের পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিস। আসানসোলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য ফের একবার সাফ দাবি জানান স্থানীয় সাংসদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাবুল সুপ্রিয় বলেন, এদিন সকালে তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথা হয়। আসানসোলের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। এরপরই আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে পুলিস আটকে দেয়।


আরও পড়ুন, ৩ আইপিএস অফিসারের নেতৃত্বে চলছে রুটমার্ট, আজও থমথমে আসানসোল


পুলিস গাড়ি আটকানোর পরই, রাস্তায় নেমে পড়েন বাবুল। পুলিসের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। ক্রুদ্ধ বাবুল বলেন, স্থানীয় সাংসদ হিসেবে এলাকার মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু পুলিস তাঁকে সেই কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।


এরপরই বাবুল দাবি করেন, এখনও পুলিসকে 'হেলমেট মাথায়' টহল দিতে হচ্ছে। মানুষ ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে। রাজ্য পুলিসও পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ বলে স্থানীয় মানুষ তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। মানুষের মনে সাহস যোগানোর জন্যই আধাসেনার প্রয়োজন ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, বিনা কারণেই তাঁকে আটকেছে পুলিস। তিনি আইন ভাঙতে পারবেন না, বাধ্য হয়েই তাঁকে মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে।


আরও পড়ুন, রানিগঞ্জে রাজ্যপালের না যাওয়াই ভালো: নবান্ন


যদিও সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি পাল্টা দাবি করেন, স্থানীয় মানুষই বাবুলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আরও বলেন, "ঘটনার সময় দুর্গাপুরের পাঁচতারা হোটেলে বসে ছিলেন বাবুল। এখন হাওয়া গরম করতে এসেছেন।"


আরও পড়ুন, রানিগঞ্জে আধাসেনা মোতায়েনের প্রস্তাব ফেরাল নবান্ন


অন্যদিকে, আসানসোল যাওয়ার পথে দুর্গাপুরে আটকে দেওয়া হল বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। দুর্গাপুরের এক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আহত এক বিজেপি কর্মীকে এদিন দেখতে যান লকেট। এরপর তাঁর আসানসোল যাওয়ার কর্মসূচি ছিল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরনোর পরই পুলিস তাঁকে আটকে দেয়। যদিও পুলিস বিনা কারণেই তাঁকে আটকে রেখে হেনস্থা করছে বলে দাবি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি আসানসোলে বাবুলের বাড়ি যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেন লকেট।