Purulia: লাক্ষাই এখন লক্ষ সমস্যা নিয়ে হাজির বলরামপুরের বাসিন্দাদের কাছে...
Purulia: লাক্ষা শিল্পের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে পুরুলিয়ার এই বলরামপুর ব্লক। এই কুটির শিল্পকে আরও মজবুত করতে সরকারি আর্থিক অনুমোদনে বলরামপুর ব্লকের তেঁতলো গ্রামের অদূরে তাই `বলরামপুর শেলল্যাক ক্লাস্টার` তৈরি করা হয়েছে। তবে সেই শিল্পই এখন এলাকার মানুষের কাছে বড়সড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লাক্ষা শিল্পকেন্দ্রের দূষিত জল মিশছে এলাকার পুকুরে। পুকুরের দূষিত জলে স্নান করে চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন সরকারি দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের তেঁতলো গ্রামের ঘটনা।
আরও পড়ুন: Nadia: পুজোর আগে কী ভাবে লড়ছে শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ির বাজার?
লাক্ষা শিল্পের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে পুরুলিয়ার এই বলরামপুর ব্লক। এই কুটির শিল্পকে আরও মজবুত করতে সরকারি আর্থিক অনুমোদনে বলরামপুর ব্লকের তেঁতলো গ্রামের অদূরে তাই 'বলরামপুর শেলল্যাক ক্লাস্টার' তৈরি করা হয়েছে। তবে সেই শিল্পই এখন এলাকার মানুষের কাছে বড়সড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 'বলরামপুর শেলল্যাক ক্লাস্টার' থেকে বেরনো অ্যাসিডযুক্ত দূষিত তরল মিশছে সাধারণ মানুষের ব্যবহার করা পুকুরে। এই পুকুরের জল নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তেঁতলো গ্রামের বাসিন্দারা। জল বিষাক্ত হয়ে উঠছে। এদিকে এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা ওই পুকুর-- স্নান, বাসনপত্র ও জামাকাপড় ধোওয়া, গবাদি পশুকে জলপান করানো-সহ নিত্যদিনের বিভিন্ন কাজ হয় ওখানে। কিন্তু এখন সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষজন। স্নান করলে চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা বলে অভিযোগ তাঁদের। এ বিষয়ে বাসিন্দারা স্থানীয় ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে জানিয়েও কোনও সুরাহা পাননি বলেই তঁদের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Malbazar: স্কুটি থামিয়ে চিপস, পপকর্ন খেল বুনো হাতি...
এ বিষয়ে বলরামপুর শেলল্যাক ক্লাস্টারের সভাপতি অযোধ্যা প্রসাদ সাউ জানান, বিগত দুমাস ধরে বন্ধ রয়েছে লাক্ষা ধোয়ার কাজ। তবে বর্ষার জল পুকুরের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তার পরেও বিষয়টা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে। জেলা শিল্পকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার জানান, এই ধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।