Nadia: পুজোর আগে কী ভাবে লড়ছে শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ির বাজার?
Nadia: বাইরের রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ধরনের তাঁত বা কটন শাড়ি চলে আসায় কিছুটা হলেও শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত থেকে ইদানীং হয়তো মুখ ফিরিয়েছেন ক্রেতাদের একটা বড় অংশ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রথের চাকা ঘুরতেই মোটামুটি পুজোর ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। নদীয়ার শান্তিপুর ফুলিয়া-সহ আশেপাশের এলাকায় তাঁতশিল্পের মধ্যে জড়িত সকলেরও এই সময় থেকে ব্যস্ততা বাড়তে থাকে। সারা রাজ্যে যে তাঁত তৈরি হয় তার সিংহভাগ নদীয়ার শান্তিপুর এবং ফুলিয়ার। ফুলিয়ার শাড়ির বুনন উন্নতমানের, এই কাপড়ের রং এবং সার্বিক গুণমান খুবই উঁচুতারে বাঁধা। তবে শান্তিপুরের তাঁত গুণমানে ফুলিয়ার তাঁতের চেয়ে কিছুটা কমা। শান্তিপুর এবং ফুলিয়ার অর্থনীতি সেখানকার এই তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: Malbazar: স্কুটি থামিয়ে চিপস, পপকর্ন খেল বুনো হাতি...
মূলত দুই ধরনের তাঁত এখানে তৈরি হয়-- একটি হাতে টানা অন্যটি মেশিনে। হাতে টানা তাঁতের বাজারদর বেশ ভালোই। অন্যদিকে, মেশিনে তৈরি তাঁতের দাম কিছুটা হলেও কম। হাতে টানা তাঁতে যেখানে একটি শাড়ি উৎপাদন করতে একদিনের বেশি সময় লাগে সেখানে মেশিনে একদিনে পাঁচ থেকে ছটি শাড়ি উৎপাদিত হয়!
টাঙ্গাইল, জামদানি, বালুচরী-- নামেই পরিচিত এখানকার তাঁত। পুজো হোক বা বিয়ে-- সবেতেই এই তাঁতশিল্পের ছোঁয়া লাগে। পুজোর মরশুমে কয়েক লক্ষ টাকার বেচাকেনা হয় এখানকার দোকানগুলিতে।
আরও পড়ুন: Malbazar: লোকালয় থেকে উদ্ধার ১২ ফুট লম্বা কিং কোবরা...
পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটি দিন। এখানকার তাঁতশিল্পের ব্যস্ততা তাই এখন চরমে। তবে বাইরের রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ধরনের তাঁত বা কটন শাড়ি চলে আসায় কিছুটা হলেও শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত থেকে ইদানীং হয়তো মুখ ফিরিয়েছেন ক্রেতাদের একটা বড় অংশ। পাশাপাশি অনলাইন কেনাবেচাও এর বাজারে কিছুটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সেই সব থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার লড়াই চালাচ্ছে নদীয়ার তাঁতশিল্প। মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে তারা কোমর বাঁধছে নিজেদের ব্যবসাটাকে আগের গৌরবে নিয়ে যেতে।