অরূপ লাহা: মঙ্গলবারের পর বুধবারও বাজারে আলুর দাম কার্যত একই জায়গায়। মঙ্গলবার থেকে বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছে বর্ধমানের বাজারে। পুলিস লাইন বাজার থেকে স্টেশন বাজার কিংবা নীলপুর বাজার সব জায়গাতেই খোলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কিলো দরে। বাজারের খুচরো বিক্রেতারা জানান, সোমবার পর্যন্ত আমরা আলু বিক্রি করেছি ৩২ টাকায়। কিন্তু আলুর জোগান কম। বস্তায় ২০০ টাকা বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Death Clock: হাত-দেখা, জ্যোতিষ এসব এবার ছাড়ুন! 'কবে মৃত্যু' বলে দিচ্ছে সামান্য় একটা ঘড়িই...


আলু হিমঘরে থাকার পাশাপাশি জেলার টাস্ক ফোর্সও কার্যত হিমঘরে চলে গিয়েছে। বাজারে আলুর দাম বাড়লেও টাস্ক ফোর্সের দেখা মেলেনি গতকাল মঙ্গলবার কিংবা আজ বুধবারও। সোমবার পর্যন্ত হিমঘর থেকে আলু সরবরাহ হয়েছে একেবারে স্বাভাবিক ভাবেই। মঙ্গলবার থেকে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী  সমিতি কর্মবিরতির ডাক দেয়। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ জারি করা যাবে না। বর্ডারে আলু বোঝাই লরি আটকে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার খুলে দিতে হবে এই দাবিতে। সরকার তা না মানায় শুরু হয় হিমঘর মালিক ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি। কিন্তু দেখা গেল মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজারে আলুর দাম ঊর্দ্ধমুখী। ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা কিলো দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে। একলাফে কিলো প্রতি জ্যোতি আলুর দাম বাড়ল ৩ থেকে ৪ টাকা। খুচরো ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে আলুর জোগান কম আছে। তাহলে তো বুধবার আলুর জোগান আরো কমে যাবার কথা। কিন্তু এদিনও খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়েনি। কারণ মঙ্গলবারই প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি মিটিংয়ে ঘোষণা করে বুধবার থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তার জন্যই দাম বাড়ল না। তাহলে একটা জিনিস পরিষ্কার, একশ্রেণির আড়তদার বা মিডল ম্যান বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি করে বেশি মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছিল।


এখানেই প্রশ্ন, কেন জেলার টাস্ক ফোর্স সক্রিয় নয়। আড়তে গোডাউনে  প্রচুর আলু মজুত রেখে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম অভাব তৈরি করছে। সেখানে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অথচ প্রশাসন উদাসীন বলে উঠছে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: Today's Gold Rate: ফের অনেকটা কমল সোনার দাম! বিয়ের ভরা মরসুমে এ কি লক্ষ্মীরই কৃপা? সঞ্চয়ের জন্যও এখনই ঝাঁপান...
 
গতকাল বিকেলই রাজ্য সরকারের চাপে পিছু হটেছিল 'প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি'। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বেচারহাটে আলু ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বুধবার থেকে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হল। অর্থাৎ, আজ, বুধবার হিমঘর থেকে আলু বের হবে ও তা আগের মতোই বাজারে সরবরাহ করা হবে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের হিমঘরগুলিতে আলু আছে প্রায় ৯ শতাংশ। যে পরিমাণ আলু মজুত আছে, তাতে কোনও ভাবেই আলুর জোগানে টান পড়বে না!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)